লক্ষ্য ২০২৪। দলকে ঢেলে সাজাতে মরিয়া সোনিয়া-রাহুলরা। রাজ্যে-রাজ্যে নুইয়ে পড়া দলের সংগঠনকে চাঙ্গা করতে তৎপরতা তুঙ্গে হাত-শিবিরে। এব্যাপারে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোররে সাহায্য নিচ্ছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। বুধবার কংগ্রেসের সিনিয়র নেতারা বৈঠকে বসেছিলেন প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে। পিকে-র সঙ্গে ওই বৈঠকে ছিলেন কংগ্রেস শাসিত দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও ছত্তীশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল যোগ দিয়েছিলেন ওই বৈঠকে। দলের বর্ষীয়ান এই দুই নেতাও সংগঠনকে চাঙ্গা করতে পিকে-র সামনে একাধিক প্রস্তাব রাখেন।
কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, গেহলট ও বাঘেল রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি এবং রাজ্যগুলির এআইসিসি ইনচার্জ হিসেবে তাঁদের আগের বেশ কিছু অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন ওই বৈঠকে। দুই নেতাই সাংগঠনিক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বুথ স্তরে পার্টি ক্যাডার তৈরির উপরে পিকে-কে বাড়তি জোর দিতে পরামর্শ দিয়েছেন।
এছাড়াও যোগাযোগ বৃদ্ধি, দলের ইমেজ ধরে রেখে রাজনৈতিক বার্তা দেওয়া থেকে শুরু করে কৌশল করে জোট সঙ্গী নির্ধারণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। এছাড়াও যে রাজ্যগুলিতে কংগ্রেস শক্তিশালী সেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে বিভাজন তৈরি নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।
আরও পড়ুন- গভীর রাতে সার্কিট হাউস থেকে ধৃত যুবনেতা, গ্রেফতারির কারণ নিয়ে ধন্দ
জানা গিয়েছে, আগামী দু'দিন ধরে চলবে এই আলোচনা। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী দলের সিনিয়র নেতাদের দিয়েছেন মস্ত দায়িত্ব। সোনিয়ার নির্দেশ, পিকে-র দেওয়া পরামর্শগুলি থেকে বিশেষ কয়েকটি প্রস্তাব চিহ্নিত করবেন দলের সিনিয়র নেতারা। তারপর সেই প্রস্তাবগুলি একটি রিপোর্ট আকারে জমা দিতে হবে তাঁকে। বুধবার ১০ জনপথে সোনিয়া গান্ধীর বাড়িতে পাঁচ ঘন্টা ধরে চলে কংগ্রেসের এই বৈঠক।
বুধবারের বৈঠকে প্রশান্ত কিশোরের উপস্থিতি সম্পর্কে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলট বলেন, ''প্রশান্ত কিশোর একটি ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছেন। ২০১৪-এর লোকসভা নির্বাচনে তিনি (নরেন্দ্র) মোদী এবং বিজেপির সঙ্গে ছিলেন। তারপর তিনি নীতিশের (কুমার) সঙ্গে যান। তারপর পঞ্জাবে কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করেচেন। তিনি একজন পেশাদার। তাঁর মতো আরও অনেকে আছেন। আমরা তাঁদের সঙ্গেও যোগাযোগ করি। কিন্তু প্রশান্ত কিশোর একটা বড় নাম হয়ে উঠেছেন। তাই মিডিয়া তাঁকেই ফোকাস করছে।''
Read full story in English