দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের পর আইপিএস বদলি ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ালেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। মমতার সুরেই কেন্দ্রকে বিঁধেছেন বাঘেল। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর টুইট ট্যাগ করে বাঘেল বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে। আইপিএসদের বদলি অত্যন্ত আপত্তিজনক।’
Federalism is at stake yet again. The BJP govt at centre has enchroached the state’s area of administration and transfered officers. And that too before elections.
Centre’s interference is highly objectionable and condemnable. https://t.co/GdXxMjp5SK— Bhupesh Baghel (@bhupeshbaghel) December 18, 2020
দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে গত ১০ ডিসেম্বর কলকাতা থেকে ডায়মন্ড হারবারে যাওয়ার পথে জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলা হয়। গাড়ি লক্ষ করে ইট-পাটকেল ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে। কাঠগড়ায় তোলা হয় তৃণমূলকে। সেই ঘটনা ঘিরেই কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত চরমে পৌঁছায়। আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্নে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজিপিকে তরব করেন কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্র সচিব। পরে নাড্ডার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৩ আইপিএস অফিসার রাজীব মিশ্র, প্রবীণ ত্রিপাঠি এবং ভোলানাথ পাণ্ডেকে ডেপুটেশনে চেয়ে পাঠায় কেন্দ্র।
আর এতেই রাজ্যের তরফে আপত্তি জানানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাতের অভিযোগ তোলেন। টুইটে তিনি লেখেন, ‘রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করবে, এটা কোনও মতেই বরদাস্ত করব না। অগণতান্ত্রিক ও বিস্তারবাদী শক্তির কাছে কিছুতেই মাথা নত করবে না পশ্চিমবঙ্গ।’ তিন অফিসারকে ছাড়া সম্ভব নয় বলে জানায় নবান্ন। যদিও তাতে কর্ণপাত না করেই ১৭ ডিসেম্বর ওই তিন অফিসারের বদলি করে দেয় কেন্দ্র। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে যাওয়ার কথা বিবেচনা করছে নবান্ন।
এই ইস্যুতে একইভাবে বাঘেল তাঁর অসন্তোষ উগরে লিখেছেন, ‘ভোটের আগে আইপিএস বদল করা হচ্ছে। রাজ্যের এক্তিয়ারে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ তীব্র আপত্তিকর, ও নিন্দনীয়।’
মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল। আইপিএস বদলি ইস্যুতে কংগ্রেস পরিচালিত সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পাশে দাঁড়ানোয় মমতার বিরোধিতা কিছুটা হলেও পোক্ত হল বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন