হঠাৎই সেলিব্রিটি বাঁকুড়ার বিভীষণ হাঁসদা। বৃহস্পতিবার তাঁর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী। তারপর থেকেই রীতিমত প্রচারের আলোয় বিভীষণ। এই আদিবাসী পরিবারটিকে নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতির দড়ি টানাটানিও। শাহ ফিরতেই বিভীষণের বাড়িতে যান জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য সোনাই মুখোপাধ্যায়। খোঁজ খবরের পাশাপাশি দেন সহায়তার আশ্বাস। তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই আবার সেখানে হাজির বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। 'তুমি আমাদেরই লোক'। আপাতত সবপক্ষই বিভীষণকে নিজেদের কাছে টানতে মরিয়া। কিন্তু, এই দড়ি টানাটানির মাঝে পড়তে নারাজ বিভীষণ হাঁসদা। কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মী নন বলেই দাবি করেছেন চতুরডিহি গ্রামের এই আদিবাসী মানুষটি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে আলাপচারিতা না হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার কিছুয়া হতাশ হয়েছিলন বিভীষণ। প্রকাশ্যে সেকথা বলেও ছিলেন। যদিও বিজেপি নেতাদের মারফৎ অসুস্থ মেয়ের চিকিৎসা ও পড়ালেখার খরচ জোগাড়ের আর্জি পৌঁছে গিয়েছিল শাহের কানে। প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাসও দিয়েছিলেন অমিতজি।
কিন্তু সেই সাহায্য এসে পৌছানোর আগেই শনিবার আদিবাসী পরিবারে হাজির হন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য সোনাই মুখোপাধ্যায়। প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি। আদিবাসী পরিবারের উন্নয়নের কথা যে শুধু বিজেপির ফাঁকা আওয়াজ তা প্রচারের চেষ্টা চালায় তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই বিভীষণের সঙ্গে দেখা করেছেন স্থানীয় বিডিও।
কিন্তু, জমি ছাড়তে নারাজ পদ্ম ব্রিগেডও। রবিবার বিভীষণের বাড়িতে যান বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। ডায়বেটিস ইনসিপিডাসে আক্রান্ত বিভীষণের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ার শারীরিক পরীক্ষার সব রিপোর্ট খতিয়ে দেখে খরচের দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দেন।
যুযুধান দুই শিবিরের নেতৃত্বর আপাতত গন্তব্য বিভীষণ হাঁসদার বাড়ি। ফলে তাঁকে নিয়ে রাজনীতির দড়ি টানাটানির জল্পনা বেড়েছে। তবে, সহযোগিতায় আপ্লুত বিভীষণ হাঁসদা। আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, 'আমি রাজনীতি করি না। কোনওদিন রাজনীতি করিনি। সাধারণ মানুষ হিসাবেই সহায়তা চেয়েছি। তা মেলার আশ্বাসে আমি খুশি।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন