এবারের নির্বাচনের সবচেয়ে হেভিওয়েট কেন্দর নন্দীগ্রামে ভোটগ্রহণ ১ এপ্রিল। হাইভোল্টেজ ত্রিমুখী লড়াই একদা জমি আন্দোলনের আঁতুড়ঘর নন্দীগ্রাম। তার আগে বিরাট স্বস্তি পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৪ বছর আগের মামলায় গ্রেফতারি থেকে রক্ষাকবচ পেলেন মমতার নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান। আগামী ২ সপ্তাহ শেখ সুফিয়ান এবং আবু তাহেরকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
Advertisment
নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় তৎকালীন বাম সরকার যাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে তাঁর অন্যতম ছিলেন শেখ সুফিয়ান। হাইকোর্টের নির্দেশে নন্দীগ্রামে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল সুফিয়ানের। সরকারপক্ষের তরফে এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরও তাঁদের বিরুদ্ধে সেই মামলা প্রত্যাহার করা হয়নি। যদিও তার মধ্যে শেখ সুফিয়ানরা সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত হন।
নন্দীগ্রামে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হওয়ার পর শেখ সুফিয়ানদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। সেইমতো কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করা হয় রাজ্যের তরফে। কিন্তু একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় পাল্টা, যাতে সুফিয়ানকে ফৌজদারি মামলা থেকে অব্যাহতি না দেওয়া হয়। করেন এক বিজেপি প্রার্থী। সেই আবেদনে সায় দিয়ে রাজ্যের আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট।
কিন্তু ভোটের মধ্যে নন্দীগ্রামে প্রবেশ না করতে পারলে নির্বাচনী এজেন্ট হিসাবে কাজ করতে পারবেন না শেখ সুফিয়ান। গ্রেফতারি এড়াতে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেন সুফিয়ান। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কৃষ্ণমুরারির বেঞ্চে। রাজ্যের হয়ে এদিন সওয়াল করেন রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি। তিনি অভিযোগ করেন, নন্দীগ্রামে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার একটা রাজনৈতিক চক্রান্ত চলছে। এরপর হাইকোর্টের রায়কে খারিজ করে বিচারপতিরা জানান, আগামী ২ সপ্তাহ শেখ সুফিয়ানকে গ্রেফতার করা যাবে না। ভোটের মুখে বড় স্বস্তি পেল তৃণমূল।