Advertisment

বিহার ভোট ২০২০: আসন রফা নিয়ে জেডিইউ-বিজেপি চাপানউতোর, নীতীশের নজরে ১১৫

ভোটের দেড়-দু'মাস আগেও আসন ভাগাভাগি নিয়ে গেরুয়া জোটের অন্দরে টানাপোড়েন অব্যাহত।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (বাঁদিকে) ও উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী।

মোদী থেকে নাড্ডা, আসন্ন বিহার বিধানসভা ভোটে এনডিএ শিবির ফের নীতীশ কুমারের নেতৃত্বেই লড়বে বলে ঘোষণা করেছেন। কিন্তু, ভোটের দেড়-দু'মাস আগেও আসন ভাগাভাগি নিয়ে গেরুয়া জোটের অন্দরে টানাপোড়েন অব্যাহত। এনডিএ-এর দুই বড় শরিক জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) ও বিজেপি আসন নিয়ে জোর দরকাষাকষি করছে। রামবিলাস পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি (এলজেপি) আগেই গত বারের চেয়ে বেশি আসনে লড়ার দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে জোটের নয়া শরিক জিতেন রাম মাঝির হিন্দুস্থান আওয়াম মোর্চাকে কটা আসন ছাড়া হবে তারও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। অর্থাৎ নিউ নর্মালে বিহার ভোটে শাসক শিবিরেরর আসন রফা এখনও বিষ বাঁও জলে।

Advertisment

জানা গিয়েছে, ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় লড়ার জন্য এবার ১১৫ আসনের দাবি করেছে নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড। ১২৮ আসন তারা ছাড়তে চায় বিজেপিকে। জেডিইউ চায় সেখান থেকেই এলজেপি-কে লড়ার জন্য আসন ছাড়ুক পদ্ম শিবির। রামবিসাল বা চিরাগ পাসোয়ান এই ফর্মুলা মেনে নেন কিনা এখন তার উপরই বিহারের শাসক শিবিরের মসৃণ জোটের ভবিষ্যৎ অনেকটা নির্ভর করছে।

জেডিইউ-এর এক শীর্ষ নেতা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, '২০১০ সালের বিধানসভা ভোটে আমরা ও বিজেপি এক সঙ্গে ভোটে লড়েছিলাম। সেখানে তাই আসন ভাগাভাগি নিয়ে কোনও সমস্যা হয়নি। ২০১৫ সালে মহা জোটের হয়ে জেডিইউ ১০১ আসনে লড়াই করেছিল। এবার আমরা ফের এনডিএ-এর বড় শরিক হয়ে লড়ছি। তাই ১১৫ আসনের দাবি জানিয়েছি। এলজেপি-কে বিজেপি আসন ছাড়ক, আমরা জিতেন রাম মাঝির হিন্দুস্থান আওয়াম মোর্চা-র বিষয়টি বুঝে নেব।'

অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিহারের বিজেপি নেতার কথায়, 'আসন রফা নিয়ে দিল্লিতে দুই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে আলোচনা চলছে। এখনই কে কটা আসনে লড়বে তা বলা মুশকিল। তবে. গত লোকসভায় আমরা ও জেডিইউ সমসংখ্যক আসনে লড়াই করেছিলাম। দলের পাঁচ জয়ী প্রার্থীর আসন নীতীশের দলকে ছেড়ে দিয়েছিলাম। এবার সেই প্রতিদান ফেরানোর পালা জেডিউ-এর।'

আসন রফা নিয়ে আগেই হুঙ্কার দিয়েছিলেন চিরাগ পাসোয়ান। বিতর্ক যাতে না বাড়ে তাই সতর্ক বিজেপি। সূত্রের খবর, জোট শরিক এলজেপির সঙ্গে সঙ্গে তাই সংযোগ রক্ষা করে চলছে পদ্ম বাহিনীর নেতারা।

বর্তমানে জেডিইউ-এর বিধায়ক সংখ্যা ৭১, বিজেপি-র দখলে ৫৩ আসন। রফা নিয়ে টানাপোড়েন থাকলেও লালু-তেজস্বী যাদবের আরজেডি প্রার্থীরা কটা আসনে লড়াই করে এখন তা দেখেই আসন সংখ্যা চূড়ান্ত করতে চাইছে জেডিইউ-বিজেপি নেতৃত্ব। অক্টোবরে বিহারের শাসক জোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ পেতে পারে।

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

bihar
Advertisment