Advertisment

বিহার ভোট: আসন রফা-জোটে ছোট দলের অন্তর্ভুক্তি, অস্বস্তিতে বিরোধী শিবির

প্রস্তুতি অনেকটাই এগিয়েছে। রণনীতি তৈরি। বিহার ভোটে এবার প্রচারে ঝাঁপাবে গেরুয়া শিবির। কিন্তু, বিরোধী শিবির এখনও ছন্নছাড়া।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
আজ দেশের বড় খবর: অরুণাচলের ৫ যুবককে ফেরাল চিন।। ডিজিসিএ-র নয়া বিজ্ঞপ্তি।। বিহারে একসঙ্গে লড়াই লালু-সোরেনের

কংগ্রেস-আরজেডি-সিপিাই(এম-এল) একযোগে ভোটে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও আসন রফা, প্রার্থী বাছাই এখনও হয়নি।

প্রস্তুতি অনেকটাই এগিয়েছে। রণনীতি তৈরি। বিহার ভোটে এবার প্রচারে ঝাঁপাবে গেরুয়া শিবির। কিন্তু, বিরোধী শিবির এখনও ছন্নছাড়া। কংগ্রেস-আরজেডি-সিপিাই(এম-এল) একযোগে ভোটে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও আসন রফা, প্রার্থী বাছাই এখনও হয়নি। এমনকী, বিরোধী জোটে ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলোকে ঠাঁই দেওয়ার ক্ষেত্রেও আরজেডি ও কংগ্রেসের মতপার্থক্য দেখা গিয়েছে।

Advertisment

উপেন্দ্র কুশওয়ার নেতৃত্বাধীন আরএলসিপি, মুকেশ সাহনির বিকাসশীল ইনশান পার্টিকে (ভিআইপি) বিরোধী জোটে অন্তর্ভুক্ত করতে আগ্রহী কংগ্রেস। হাত শিবির সূত্রে খবর, ছোট দলগুলোকে বেশি আসন দিতে নারাজ আরজেডি। এছাড়া ছোট দলের প্রার্থীদের আরজেডি বা কংগ্রেসের প্রতীকে লড়াইয়ের পক্ষে তেজস্বী যাদবের দল। জাতপাতের রাজননীতিতে আরএলসিপি বা ভিআইপি-র মতো দলের ভোট আদৌ বিরোধী জোটের পক্ষে পড়বে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান আরজেডি।

এক কংগ্রেস নেতৃত্বের কথায়, 'হাত শিবির ৭০ আসনে লড়তে আগ্রহী। কিন্তু, আসন সমঝোতা কোন পথে, কোন দল কত আসনে লড়বে, কোন কোন কেন্দ্রে কংগ্রেস লড়বে, কাদের প্রার্থী করা হবে তা নিয়ে এখনও বিরোধী জোটে আলোচনা হয়নি। তাই ছোট দলের অন্তর্ভুক্তির আগে এই বিষয়গুলো স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন।'

আরজেডি-র এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, 'বাস্তবে ত্রিঙ্কু বিধানসভা হওয়ার সম্ভাবনা বা কট্টর লড়াই হবে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-কে প্রতিহত করতে আরজেডি-কংগ্রেস ও বামেরাই যথেষ্ট। ছোট দলের প্রার্থীরা জোটে অন্তর্ভুক্ত হয়ে জিতলেও পরে প্রলোভনে পা দেবেন না এমন কোনও নিশ্চয়তাও নেই। তাই বুঝেশুনে এগতে হবে।'

কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, ছোট দলগুলো যুক্তিসঙ্গত দাবি করলে নীতীশ নেতৃত্বাধীন জোটের কাছে কড়া বার্তা পৌঁছবে। আরজেডি বা কংগ্রেসকে যারা ভোট দেয় না তারা ছোট দলগুলো ভোট দিলে বিরোধী জোটের সুবিধা হবে। তবে বিষয়টি বেশ জটিল। সময়ের দাবি মেনে, প্রথমত কংগ্রেস-আরজেডি ও বামেদের মধ্যে পোক্ত জোট গঠন করা প্রয়োজন। পরে নিজেদের আসন থেকে বড় দলগুলো ছোট দলগুলোকে আসন ভাগাভাগি করে দিক।

কিন্তু এতেও জটিলতা কম নয়। কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, ছোট দলগুলো ২৫-৩০ আসন দাবি করছে। এমনকী উপ মুখ্যমন্ত্রী পদটিও। যা কখনই মেনে নেওয়া যায় না। যদি ছোট দলগুলোর চাহিদার বদল না ঘটে তবে আরজেডি-কংগ্রেস ও সিপিাই(এম-এল) আসন রফা করে ভোটে লড়াই করবে।

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

CONGRESS bihar
Advertisment