দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজ্যে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ব্যাপক ধ্বংসের কথা স্বীকার করেছেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। আর, সেই সময় তিনি 'বিহারি স্থপতি'দের কথা উল্লেখ করে বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেছেন। যা বিরোধীদের ক্ষোভের মুখে ফেলেছে সুখুর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারকে।
এই ব্যাপারে হিমাচল প্রদেশের প্রাক্তন নগরোন্নয়নমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুরেশ ভরদ্বাজ বলেছেন, 'বিহারী স্থপতিদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য আমি দেখেছি। রাষ্ট্র যখন দুর্যোগের মধ্যে পড়ে, তখন আমরা শ্রমিক, মিস্ত্রিদের দোষ দিতে পারি না। তাঁরা এখানে জীবিকা নির্বাহ করতে এসেছেন। অন্যকে, বিশেষত দরিদ্রদের দোষারোপ করার পরিবর্তে, মুখ্যমন্ত্রীর উচিত ত্রাণকাজের দিকে মনোনিবেশ করা এবং আরও বৈজ্ঞানিক উন্নয়নের জন্য একটি প্রক্রিয়া তৈরি করা।'
সুখুর মন্তব্যকে 'দায়িত্বজ্ঞানহীন' বলে অভিহিত করে প্রবীণ আপ নেতা তথা দলের মুখপাত্র মালবিন্দর সিং কাং বলেছেন, 'দলগতভাবে আপ এই বিবৃতির নিন্দা করে। এই মন্তব্য দেশকে বিভক্ত করার কংগ্রেসি মানসিকতার প্রতিফলন। আমরা সবাই প্রথমে ভারতীয়। যদি কাঠামোগত নির্দেশিকা লঙ্ঘন করা হয়, তবে সেটা সরকারেরই ব্যর্থতা। আপনি কীভাবে এই ধরনের একটি পরিশ্রমী সম্প্রদায়কে দোষারোপ করতে পারেন।'
বিরোধীদের এই সমালোচনার মুখে উলটো সুর গাইতে শুরু করেছেন সুখু। তিনি সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, 'আমি এ সম্পর্কে জানিই না। আমি তো এসব কথা কখনও বলিনি। বেচারা বিহারের লোকেরা এখানে আটকে ছিলেন, আমি তাঁদের সরিয়ে নিয়ে এসেছি। বিহারের লোকেরা আমাদের ভাই।'
আরও পড়ুন- বিচারে ব্যবহৃত লিঙ্গ-সংক্রান্ত শব্দ, এব্যাপারে কী বলছে সুপ্রিম নির্দেশিকা?
বুধবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা বলার সময় হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছিলেন, রেকর্ডিং অনুযায়ী তিনি এক নয় দু'বার 'বিহারী স্থপতি' শব্দের উল্লেখ করেছিলেন। সেই কথা বলার সময় সুখুকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, আবাসিক এলাকাতেও তো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যার উত্তরে সুখু বলেছিলেন, যে বাড়িগুলি নদীর গতিপথের পাশে, কেবলমাত্র সেগুলোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।