তাঁর অস্তিত্ব জানান দিতে মাঝে মাঝেই গোপন ডেরা থেকে অডিও বার্তা পাঠান দার্জিলিংয়ের একসময়ের একমেবদ্বিতীয়ম নেতা বিমল গুরুঙ। যার এক কথায় পাহাড়ের জনজীবন স্তব্ধ হয়ে যেত। এখন অবশ্য তিনি গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন।
অজ্ঞাত স্থান থেকে অডিও বার্তা পাঠিয়ে গোর্খাল্য়ান্ডের দাবিতে আরও একবা সরব হলেন গুরুং। গোর্খাল্য়ান্ড ইস্য়ুতে তিনি পাহাড়ের সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে আবেদন রেখেছেন। তাঁর আবেদন, পাহাড়ের নেতারা গোর্খাল্য়ান্ডের দাবিতে এক মঞ্চে এসে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করুক। এটাই তার জন্য সঠিক সময়।
দীর্ঘ দিন ধরে গোপন আস্তানায় রয়েছেন পাহাড়ের একসময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা বিমল গুরুং। তিনি অজ্ঞাত স্থানে চলে যাওয়ার পর গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার রাশ তাঁর হাত থেকে বেরিয়ে যায়। শুধু দার্জিলিং নয়, সিকিমের জঙ্গলে রাজ্য়ের পুলিশ হন্য়ে হয়ে তাঁকে খুঁজে বেড়িয়েছে। তাঁকে ধরতে দিল্লিতেও ছুটেছে রাজ্য়ের গোয়ন্দা পুলিশ। দিনের পর দিন আস্তানা পরিবর্তন করেছেন গুরুং। সম্প্রতি পাহাড়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে শহিদ স্মরণের ডাক দিয়েছিলেন বিমল। কিন্তু পলাতক নেতার আহ্বানে পাহাড়বাসী সাড়া দেননি।
এহেন গুরুং শুক্রবার অডিও বার্তায় বলেছেন, পাহাড়ের সমস্ত দলকে এক হয়ে গোর্খাল্য়ান্ডের দাবি জানাতে হবে। এ প্রসঙ্গে গতকালই বোরো ল্য়ান্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বৈঠকের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, বোড়োল্যান্ড নিয়ে আলোচনা হলে গোর্খাল্য়ান্ড নিয়েও কথা বলতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে।
অডিও বার্তায় গুরুং বলেছেন, ‘‘আরবি রাই সিপিএম থেকে বেরিয়ে এসেছেন গোর্খাল্য়ান্ডের জন্য়, হরকাবাহাদুর ছেত্রী জিজেএম থেকে বেরিয়ে নতুন দল গড়লেও গোর্খাল্য়ান্ডের দাবিতে লড়াই করে যাচ্ছেন। ১৯৮৬ থেকে জিএনএলএফ পাহাড়ে পৃথক রাজ্য়ের দাবিতে আন্দোলন করছে। ১২ শো জন শহিদ হয়েছেন। আমাকে বাদ দিয়েই গোর্খাল্য়ান্ডের দাবিতে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলুক। তাতেও কোনও সমস্য়া নেই। বোড়োল্য়ান্ড নিয়ে যখন কথা হচ্ছে, তখন গোর্খাল্য়ান্ডের দাবিতে ফের কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলা যুক্তিসঙ্গত।’’
বিমল গুরুঙের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে রাজ্য় সরকারের। একবার তল্লাশির সময় হাত ফসকে পালিয়ে গিয়েছিলেন বিমল। প্রকাশ্য়ে আসেননি দীর্ঘদিন। রাজ্য় সরকার তাঁকে খুন করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।