পাহাড়ের রাজনীতিতে এবার নতুন মোড়। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার গুরুংপন্থী ও বিনয়পন্থীরা বিধানসভা নির্বাচনে পাহাড়ের তিনটে আসনেই পৃথকভাবে প্রার্থী দিতে চলেছে। মোর্চার দুই গ্রুপের ভোট ভাগাভাগির ফলে ফায়দা পাবে জিএনএলএফ ও বিজেপি। এর ফলে বিপাকে পড়তে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা গোপন আস্তানা থেকে প্রকাশ্যে আসতেই পাহাড়ের রাজনীতির অনেকটাই বদল ঘটেছে। তৃণমূলের সঙ্গে গুরুংদের সম্পর্ক জুড়তেই বিনয় তামাংদের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। তৃণমূল পাহাড়ের তিনটে আসন ছেড়ে রেখেছে বিমল গুরুংদের জন্য। ইতিমধ্যে ২৯১টি আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তবে এখনও গুরুংরা প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেননি।
দীর্ঘ অজ্ঞাতবাসে ছিলেন মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং। বিমল-রোশনদের অনুপস্থিতিতে পাহাড়ের রাশ ছিল বিনয় তামাং-এর হাতে। বিমল গুরুং ফিরতেই পাহাড় দখলের খেলায় সম্মুখ সমরে বিনয়-বিমল। তাতেই বিপাকে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিনয় ও গুরুংকে একসঙ্গে লড়াই করার বার্তা দিলেও পাহাড়ের পরিস্থিতি বাদলায়নি। মোর্চার দুই শিবিরই পাহাড়ের তিনটি আসনেই প্রার্থী দিতে মরিয়া।
মঙ্গলবার দার্জিলিংয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে পাহাড়ের তিনটি আসনেই প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন বিনয় তামাং। তিনি বলেন, "বিমল গুরুংয়ের প্রতি আস্থা হারিয়েছে পাহাড়ের মানুষ। বিমলকেও বিশ্বাস করে না।" বিনয় তামাং এখনও তৃনমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর ভরসা রেখেছেন। তিনি আশাবাদী তৃণমূল নেত্রীও তাঁর ওপর ভরসা রাখবেন।
এরইমধ্যে দুদিন আগেই তৃণমূল ছেড়েছেন প্রভাবশালী নেতা রাজেন মুখিয়া। তার ওপর পাহাড় নির্বাচনে মোর্চার দুই গোষ্ঠীই প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করায় অনেকটা অক্সিজেন পেয়েছে গেরুয়া শিবির। দীর্ঘ কয়েকবছর পর পাহাড়ে গিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব দুইপক্ষকে বসিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টাও করেছিল। আখেড়ে কোন লাভ হয়নি। ফের পাহাড়ে চড়তে চলেছে রাজনৈতিক পারদ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন