/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/05/mamata-gurung.jpg)
মমতা ব্যানার্জী, বিমল গুরুং
গতমাসেই পাহাড় সফরে জিটিএ ভোটের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার প্রস্তুতিও শুরু করেছে নবান্ন। কিন্তু, এখনই জিটিএ নির্বাচন চাইছেন না গোর্খ জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুং। শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে জিটিএ ভোট না করার আবেদন জানিয়েছেন গুরুং।
পাহাড়ে জিটিএ ভোট যাতে এখনই না হয় তা নিয়ে এর আগে একাধিকবার আপত্তি তুলছিলেন মোর্চা নেতৃত্ব। আর এ দিন একেবারে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন স্বয়ং বিমল গুরুং।
পাহাড় সমস্যার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান করার পরেই জিটিএ ভোট করা উচিত হবে বলে জানিয়েছেন মোর্চা নেতা গুরুং। পাহাড় সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের একটি খসড়া আগেই রাজ্যের কাছে জমা করেছিল মোর্চা। সেই খসড়া অনুসারে অগ্রসর হওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে এ দিনের চিঠিতে। তবে জিটিএ ভোটে আপত্তি থাকলেও দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা পাহাড়ের পঞ্চায়েতগুলিতে ভোট করানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন মোর্চা নেতৃত্ব।
চিঠিতে বিমল গুরুং একই সঙ্গে স্মরণ করিয়েছেন যে, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা এখনও তৃণমূলের সমর্থনেই রয়েছে।
কেন এখন জিটিএ ভোটে যেতে রাজি নন বিংল গুরুং অ্যান্ড কোম্পানি? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ২০২০ সালের পঞ্চমির দিন অচমকা সল্টলেকে প্রকাশ্যে আসেন বিমন গুরুং। এরপর পাহাড়ে ফেরেন। তারপর থেকেই তৃণমূলকে সমর্থনের ঘোষণা করেছিলেন গুরুং। গত বিধানসভা ভোটে মোর্চার সঙ্গে জোট করে পাহাড়ের তিন আসনে লড়াই করে তৃণমূল। কিন্তু, সাফল্য তেমন মেলেনি। কয়েক মাস আগে শেষ হওয়া দার্জিলিং পুরভোটেও ধরাশায়ী মোর্চা। প্রমাণিত যে পাহাড়ে গুরুংদের জনভিত্তি কমেছে। এই অবস্থায় আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পাহাড়ে জিটিএ ভোট হলে তেমন সুবিধা করতে পারবে না মোর্চা। আগেভাগেই যা আঁচ করে এখনই পাহাড়ে জিটিএ ভোট না করার জন্য আর্জি জানাচ্ছেন বিমন গুরুং।