নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছে দু'পক্ষই। উভয়েরই নিশানায় মোদী-শাহ সরকার। কিন্তু মিছিল শেষে তৃণমূল সুপ্রিমোর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেদিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। এই বর্ষীয়ান বাম নেতা বলেন, "যারা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন, তাঁরাই আবার ডিটেনশন ক্যাম্পের জন্য যায়গা দিচ্ছেন"। সোমবার উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ খেলাঘর মাঠে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ বিক্ষোভ ও ডেপুটেশনে এসে মমতা সরকারকে এই ভাষাতেই আক্রমণ করলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান।
বনগাঁর পথে বিমান। ছবি- উৎসব মন্ডল
সোমবার যখন মহানগরের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই সময় বনগাঁয় ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে জনসভা করেন সিপিআইএম নেতা বিমান বসু। এদিন তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ, আন্দোলন চলছে। কিন্তু যাঁরা এই আন্দোলন করছেন, তাঁরাই আবার ডিটেনশন ক্যাম্পের জন্য জায়গা দিচ্ছেন। আমাদের কাছে খবর আছে, বনগাঁ এবং ব্যারাকপুরে দুটি ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি হবে। এর জন্য জায়গা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। যদিও বনগাঁয় এখনও জায়গা ঠিক হয়নি।" এদিন তিনি বনগাঁবাসীর কাছে এই ক্যাম্প ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়ার আহব্বানও জানান।
আরও পড়ুন: ‘সহযোগিতা করুন, উস্কানি দেবেন না’, চিঠিতে মমতার বার্তা ধনকড়কে
নাগরিকত্ব আইন নিয়ে যখন উত্তাল দেশ, সেই বিক্ষোভ আন্দোলন প্রসঙ্গে বিমান বলেন, "আন্দোলনের বিপথগামী হওয়া উচিত নয়। সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে মানুষের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করা উচিত। এই বিলটি সংবিধান মেনে তৈরি হয়নি। ভারতের সংবিধান ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমানাধিকার দিয়েছে। কিন্তু এই আইনে তার কোনো উল্লেখ নেই।"
এদিন হায়দরাবাদ এনকাউন্টার নিয়েও মুখ খোলেন বিমান বসু। তিনি বলেন, "হায়দরাবাদে ডাক্তার মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করা হল। তারপর হায়দরাবাদ পুলিশ এনকাউন্টারের নামে খুন করল। তারা নিম্মবর্ণের না হলে সম্ভব হত না।" উন্নাও প্রসঙ্গ টেনেও এদিন বিমান বসু বলেন, সেখানে যারা ধর্ষণ করেছে, তারা উচ্চবর্ণের। ওদের ক্ষেত্রে এনকাউন্টার হবে না।" উল্লেখ্য, এদিন উন্নাও নাবালিকা ধর্ষণকাণ্ডে দিল্লির আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গার।