Anti-BJP Front: ২১ জুলাই সুরটা বেঁধেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি সেই সুরেই সুর বাঁধলেন সিপিএম নেতা বিমান বসু। তৃণমূলের শহিদ দিবসের ভার্চুয়াল বক্তৃতায় সব নেতাকে এগিয়ে এসে ফ্রন্ট গঠনের আহ্বান জানান তৃণমূল নেত্রী। এটাই বিজেপি-বিরোধী মঞ্চ গড়ার সময়। সেই অনুষ্ঠানে বার্তা পাঠিয়েছিলেন মমতা। সেই বার্তার পর থেকেই কংগ্রেস হাইকমান্ডের তরফে রাজ্যের শাসক দলের প্রতি নরম মনোভাব দেখা গিয়েছে। এবার তৃণমূলের সঙ্গে জোটে যেতে আপত্তি নেই সিপিএম-এর। রবিবার ঘুরিয়ে এই মন্তব্য করলেন বিমান বসু।
একদা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছিলেন, রাজনীতিতে চিরশত্রু বলে কিছু নেই। কেউ অচ্ছ্যুত নয়। সেই বানীকেও স্মরণ করেই কি এদিন মুখ খুলেছিলেন প্রবীণ বাম নেতা? রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ সাংবাদিকদের বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বলেন, ‘সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধী সমস্ত শক্তির সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত আমরা।‘ সেক্ষেত্রে কি তৃণমূলেরও হাত ধরবেন? এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হয় সংবাদ মাধ্যমের তরফে। সেই প্রশ্নের জবাবে বিমান বসু ফের বলেন, 'কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, কচ্ছ থেকে কোহিমা পর্যন্ত বিজেপি ছাড়া যেকোনও দলের সঙ্গে কাজ করতে আমরা প্রস্তুত। এরপর আর কিছু বলার আছে!'
স্বভাবত তৃণমূলের প্রতি বিমান বসুর মতো এক প্রাজ্ঞ বাম নেতার নরম সুরই রাজ্য রাজনীতিতে অন্য সমীকরণের বার্তা দিচ্ছে। এমনটাই দাবি রাজনৈতিক মহলের। সোমবার রাতেই দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই সূচিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে মমতার। সংসদের সেন্ট্রাল হলে গিয়ে অন্য রাজনৈতিক দলের সাংসদদের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
এই আবহে মমতার ডাকে সাড়া দিয়েই জাতীয় স্তরে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস। সম্প্রতি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতির সমর্থনে টুইটও করেছে জাতীয় কংগ্রেস। এরপরই বামফ্রন্ট চেয়ারম্যানের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য। তাহলে কি আগামি সাধারণ নির্বাচনে এই রাজ্যে বিজেপি বনাম বিরোধী জোট, এই দুই মেরুর লড়াই দেখতে পাবে বাংলার মানুষ?
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন