তাঁর বাবা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এসেছেন বাংলাদেশ থেকে। তাই এনআরসি হলে লোকসান তাঁরই সবচেয়ে বেশি। এমনকী যেতে পারে তাঁর মুখ্যমন্ত্রীত্বও। দিন কয়েক আগেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের এমন মন্তব্য ঘিরে সরগরম হয় নেট দুনিয়া। ফেসবুক, টুইটারে মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে বিপক্ষে নানা কথা লেখা হতে থাকে। সত্যিই কি তাহলে এনআরসি হলে বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে? মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে আতঙ্ক বাড়তে থাকে।
এরপরই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ডিজিটালের তরফে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের কাছ সাক্ষাৎকারের সম্পূর্ণ ভিডিও ক্লিপটি দেখতে চাওয়া হয়। তখনই গোটা বিষয়টিকে "নোংরা রাজনীতি" বলে অভিহিত করেন মুখ্যমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা সঞ্জয় মিশ্র। তাঁর অভিযোগ, "সাক্ষাৎকারের অনেকটা অংশ বাদ দিয়ে শুধু ওই অংশটাই প্রচার করা হয়েছে। কোন বিষয়ের প্রেক্ষিতে ওই মন্তব্য করা হয়েছিল, তার পুরোটা দেখানো হচ্ছে না।"
আরও পড়ুন: বিপ্লব দেব: মোগলরা ‘বোমা মেরে’ ধ্বংস করতে চেয়েছিল ত্রিপুরার ঐতিহ্য
গত ২৫ নভেম্বর উপনির্বাচন হয় পশ্চিমবঙ্গের তিন বিধানসভা কেন্দ্রে। এর মধ্যে কালিয়াগঞ্জে প্রচারে এসেছিলেন ত্রিপুরার বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী। প্রচারের শেষ দিনে রাজ্য সরকার বিপ্লব দেবের রোড র্যালি বানচাল করার চক্রান্ত করেছে বলে অভিযোগ করে বিজেপি। সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেন তিনি। বিপ্লব দেবের দাবি, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এনআরসি ও ক্যাব বিল না পড়েই বিরোধিতায় নেমেছেন।
ব্যাখ্যা দিয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল দেশের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়। ক্যাবের মাধ্যমে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে এদেশে আসা সংখ্যালঘু হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, ও খ্রীষ্টানদের নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে। অন্যদিকে এনআরসি চোর, ডাকাত অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে।" এরপরই হাসতে হাসতে তিনি জানান, তাঁর বাবা ও পরিবার বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরাতে এসেছিলেন। তবে তাঁর জন্ম এদেশেই। তাই এনআরসি হলে তাঁর মুখ্যমন্ত্রীত্ব চলে যাবে। একইসঙ্গে হাসতে হাসতেই তিনি বলেন, "আমি কি চাইব আমার মুখ্যমন্ত্রীত্ব এনআরসির জন্য চলে যাক? তাহলে তো এনআরসি লাগু করার জন্য প্রচারই করতাম না।" দেখা যাচ্ছে, এনআরসি নিয়ে বিপ্লব দেবের কথার পরের অংশের কোনও উল্লেখ ভাইরাল ভিডিওগুলিতে নেই।
আরও পড়ুন: সেনা-কংগ্রেস জোট, আদর্শের তাড়নায় দল ছাড়লেন শিবসেনা নেতা
উল্লেখ্য, আসামে এনআরসি হয়েছে। খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়েছিল ৪০ লক্ষ বেশি মানুষের নাম, যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক হয় দেশজুড়ে। তবে ২০১৮ সালের অগাস্টে ত্রিপুরায় এনআরসি লাগুর পক্ষে সওয়াল করেননি বিপ্লব দেব। জানিয়েছিলেন, উত্তর পূর্ব ভারতের ওই রাজ্যে এনআরসির প্রয়োজন নেই।
২০১৯ সালের মাঝামাঝি আসামের চূড়ান্ত এনআরসি তালিকা প্রকাশ পায়। তালিকায় ঠাঁই হয়নি প্রায় ১৯ লক্ষ মানুষের। বিজেপির অন্দরেই এ নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়। তাও দমার পাত্র নয় গেরুয়া শিবির। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, দেশজুড়ে এনআরসি লাগু হবে। সেই সময়ই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এনআরসি সংক্রান্ত এমন মন্তব্যে তোলপাড় সব মহল।
Read the full story in English
'এনআরসি চোর-ডাকাত চিহ্নিত করবে', ভাইরাল বিপ্লব-বাণী!
গোটা বিষয়টিকে "নোংরা রাজনীতি" বলে অভিহিত করেন মুখ্যমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা সঞ্জয় মিশ্র। তাঁর অভিযোগ, "সাক্ষাৎকারের অনেকটা অংশ বাদ দিয়ে শুধু ওই অংশটাই প্রচার করা হয়েছে।"
Follow Us
তাঁর বাবা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এসেছেন বাংলাদেশ থেকে। তাই এনআরসি হলে লোকসান তাঁরই সবচেয়ে বেশি। এমনকী যেতে পারে তাঁর মুখ্যমন্ত্রীত্বও। দিন কয়েক আগেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের এমন মন্তব্য ঘিরে সরগরম হয় নেট দুনিয়া। ফেসবুক, টুইটারে মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে বিপক্ষে নানা কথা লেখা হতে থাকে। সত্যিই কি তাহলে এনআরসি হলে বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে? মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে আতঙ্ক বাড়তে থাকে।
এরপরই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ডিজিটালের তরফে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের কাছ সাক্ষাৎকারের সম্পূর্ণ ভিডিও ক্লিপটি দেখতে চাওয়া হয়। তখনই গোটা বিষয়টিকে "নোংরা রাজনীতি" বলে অভিহিত করেন মুখ্যমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা সঞ্জয় মিশ্র। তাঁর অভিযোগ, "সাক্ষাৎকারের অনেকটা অংশ বাদ দিয়ে শুধু ওই অংশটাই প্রচার করা হয়েছে। কোন বিষয়ের প্রেক্ষিতে ওই মন্তব্য করা হয়েছিল, তার পুরোটা দেখানো হচ্ছে না।"
আরও পড়ুন: বিপ্লব দেব: মোগলরা ‘বোমা মেরে’ ধ্বংস করতে চেয়েছিল ত্রিপুরার ঐতিহ্য
গত ২৫ নভেম্বর উপনির্বাচন হয় পশ্চিমবঙ্গের তিন বিধানসভা কেন্দ্রে। এর মধ্যে কালিয়াগঞ্জে প্রচারে এসেছিলেন ত্রিপুরার বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী। প্রচারের শেষ দিনে রাজ্য সরকার বিপ্লব দেবের রোড র্যালি বানচাল করার চক্রান্ত করেছে বলে অভিযোগ করে বিজেপি। সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেন তিনি। বিপ্লব দেবের দাবি, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এনআরসি ও ক্যাব বিল না পড়েই বিরোধিতায় নেমেছেন।
ব্যাখ্যা দিয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল দেশের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়। ক্যাবের মাধ্যমে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে এদেশে আসা সংখ্যালঘু হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, ও খ্রীষ্টানদের নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে। অন্যদিকে এনআরসি চোর, ডাকাত অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে।" এরপরই হাসতে হাসতে তিনি জানান, তাঁর বাবা ও পরিবার বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরাতে এসেছিলেন। তবে তাঁর জন্ম এদেশেই। তাই এনআরসি হলে তাঁর মুখ্যমন্ত্রীত্ব চলে যাবে। একইসঙ্গে হাসতে হাসতেই তিনি বলেন, "আমি কি চাইব আমার মুখ্যমন্ত্রীত্ব এনআরসির জন্য চলে যাক? তাহলে তো এনআরসি লাগু করার জন্য প্রচারই করতাম না।" দেখা যাচ্ছে, এনআরসি নিয়ে বিপ্লব দেবের কথার পরের অংশের কোনও উল্লেখ ভাইরাল ভিডিওগুলিতে নেই।
আরও পড়ুন: সেনা-কংগ্রেস জোট, আদর্শের তাড়নায় দল ছাড়লেন শিবসেনা নেতা
উল্লেখ্য, আসামে এনআরসি হয়েছে। খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়েছিল ৪০ লক্ষ বেশি মানুষের নাম, যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক হয় দেশজুড়ে। তবে ২০১৮ সালের অগাস্টে ত্রিপুরায় এনআরসি লাগুর পক্ষে সওয়াল করেননি বিপ্লব দেব। জানিয়েছিলেন, উত্তর পূর্ব ভারতের ওই রাজ্যে এনআরসির প্রয়োজন নেই।
২০১৯ সালের মাঝামাঝি আসামের চূড়ান্ত এনআরসি তালিকা প্রকাশ পায়। তালিকায় ঠাঁই হয়নি প্রায় ১৯ লক্ষ মানুষের। বিজেপির অন্দরেই এ নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়। তাও দমার পাত্র নয় গেরুয়া শিবির। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, দেশজুড়ে এনআরসি লাগু হবে। সেই সময়ই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এনআরসি সংক্রান্ত এমন মন্তব্যে তোলপাড় সব মহল।
Read the full story in English