TMC on Tripura Violence: সুরটা বেঁধে দিয়েছেন খোদ দলনেত্রী। সেই সুরেই সোমবার বিকেলে ত্রিপুরা-কাণ্ডে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন দলের দুই নেতা সমীর চক্রবর্তী এবং কুণাল ঘোষ। সেই বৈঠক থেকেই ত্রিপুরায় জঙ্গলরাজ চলছে বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা। এমনকি, সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের ইস্তফার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন ওই দুই তৃণমূল নেতা। এদিন দুপুরে এসএসকেএমে দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতে হামলার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই গোটা ঘটনা ঘটেছে। নইলে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর অত সাহস হতে পারে না।’
সেই পথে হেঁটেই সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘ত্রিপুরায় তৃণমূলের ওপর হামলা হয়েছে, জোর করে আটকে রাখা হয়েছে। জোর করে মারধর করে তৃণমূলকে দমন করা যাবে না। বাংলায় সিপিএম-কংগ্রসকে শূন্য করে দিয়েছে তৃণমূল। দিল্লি থেকে আসা নেতাদের ফিরিয়ে দিয়েছে বাংলা। ত্রিপুরায় জিতবে তৃণমূল, তৃণমূলের নেতৃত্বে বিকল্প সরকার গড়বে।’
দলের মুখপাত্রের আরও মন্তব্য, ‘ত্রিপুরায় সিপিএম-কংগ্রেসকে অনুরোধ করব ভোট কেটে ভোট নষ্ট করবেন না। ত্রিপুরার মানুষ সিপিএম, বিজেপিকে দেখেছে। ভিক্ষা নয়, চাইছি ঋণ, ত্রিপুরার মাটিতে তৃণমূলকে আশীর্বাদ দিন। ত্রিপুরায় পায়ের তলায় মাটি সরেছে বিজেপি-র, সেই জন্য হামলা। ত্রিপুরায় ১০,৩২৩ জন শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন। বিজেপি-র নির্বাচনী ইস্তেহারে প্রতিশ্রুতি ছিল। এই সমস্যা সমাধান করা হবে।’
বঙ্গ ভোটের প্রচারে ডায়মন্ড হারাবারে আক্রান্ত হয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়। সেই প্রসঙ্গ তুলে কুণাল এদিন বলেন, ‘বাংলায় জেপি নাড্ডা থাকাকালীন বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের মধ্যে পড়েন। নাড্ডার গাড়ির ওপর হামলার ঘটনায় তিনজন আইপিএস-কে অ্যাটাচ করা হয়েছিল। অভিষেকের গাড়িতে হামলা নিয়ে কতজন আইপিএসকে তলব করা হয়েছে? এই ঘটনার নিন্দা করছি। কোথায় গেল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন? ত্রিপুরায় জঙ্গলরাজ চলছে। এসে দেখুন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। রাজনৈতিক দলদাসবৃত্তি ছাড়ুন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এখন বিজেপি-র কমিশন।‘
তৃণমূলের অভিযোগ, ‘পুলিশ-প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী সেই রাজ্যে সন্ত্রাস চালাচ্ছে।‘ দুই টিএমসি নেতার দাবি, ‘যাঁদের উপর হামলা হচ্ছে, ত্রিপুরা পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধেই মামলা করছে। আমবাসাতে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলার শিকার কিন্তু এক পুলিশকর্মীও হয়েছেন।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন