আবারও তেতে উঠল বীরভূম। বুধবার সকালে কাটমানি নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বীরভূম। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমাবাজি চলল সদাইপুরের সাহাপুর গ্রামে। পরিস্থিতি সামলাতে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে তাড়া করে পুলিশ। পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে কাটমানি ফেরত চাওয়াকে ঘিরেই গোলমালের সূত্রপাত। স্থানীয় তৃণমূল নেতা এনামুল শেখের বাড়ি ঘেরাও করতে যান বিজেপি কর্মীরা। সেসময়ই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের জেরে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে পুলিশ। এলাকায় টহল চালাচ্ছে পুলিশ। এ ঘটনায় বিজেপিকেই নিশানা করেছে তৃণমূল। জেলা তৃণমূল নেতা রানা সিং বলেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনের পর শান্ত পশ্চিমবঙ্গকে অশান্ত করছে বিজেপি। অন্যায় ভাবে বিভিন্ন সমাজবিরোধীকে জড়ো করে আমাদের বিরুদ্ধে হামলা করা হচ্ছে। ইচ্ছে করে, কিছু লোককে মদ খাইয়ে টাকা-পয়সা দিয়ে তৃণমূল নেতার বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আমরা সরকারে আছি। কখনও চাইব না আইনশৃঙ্খলা ব্যাহত হোক। আমাদের কর্মীকে সংযত থাকতে বলেছি’’।
আরও পড়ুন: কাটমানি নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র পটাশপুর
উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতে বীরভূমে ২টি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মল্লারপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বিস্ফোরণের তীব্রতায় উড়ে যায় একটি ক্লাব ঘরের ছাদ, ছিটকে যায় লোহার শাটার। বিস্ফোরণের জেরে ক্লাবের পাশে একটি দোতলা বাড়ির জানলার কাচও ভেঙে পড়ে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে ক্লাবের ভিতরে থাকা ৭ ফুট উঁচু একটি আলমারিও রাস্তায় ছিটকে গিয়ে পড়ে। এ ঘটনা নিয়ে রীতিমতো শাসক-বিরোধী চাপানউতোর শুরু হয়ে যায়। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই লাভপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিস্ফোরণ ঘটে। মল্লারপুর ও লাভপুরে বিস্ফোরণের পর বীরভূমজুড়ে জোরকদমে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। তল্লাশি অভিযান করতে গিয়ে বীরভূমের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর পরিমাণে তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। শনিবার রাতে বীরভূম পুলিশের তল্লাশি অভিযানে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১০০টিরও বেশি তাজা বোমা। সেইসঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে ৯ জনকে।