রামপুরহাট কাণ্ডের দোষীদের কাউকে রেয়াত করা হবে না। সবাইকে শাস্তি দেওয়া হবে। বুধবারই নজরুল মঞ্চের সরকারি অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বৃহস্পতিবার তিনি রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে যাবেন।
মমতা বুধবার বলেছিলেন, “আমরা সরকারে আছি। আমরা কি চাই কোথাও কেউ বোমা মারুক। কারও মৃত্যু হোক কখনওই চাই না। রামপুরহাটে যেটা হয়েছে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। যাঁরা ঘটনা ঘটিয়েছে তারা কেউ ছাড়া পাবে না। ঘটনার পর আমি ৫০ বার ফোন করেছি রামপুরহাটে। ওসি-এসডিপিওকে সরিয়ে দিয়েছি। সিট গঠন করেছি। ফিরহাদ হাকিমকে পাঠিয়েছিলাম। আজই যেতাম। কিন্তু কেউ কেউ ল্যাংচা খেয়ে লেংচে লেংচে গেছে ওখানে। যাক, আমি কাল যাব। আমি কারও পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করতে পারব না। এটা বাংলা, সবাই সব জায়গায় যেতে পারবে। উত্তরপ্রদেশের হাথরসে আমি দল পাঠিয়েছিলাম, তাদের কিন্তু ঢুকতে দেওয়া হয়নি।”
মুখ্যমন্ত্রী গতকাল বিরোধীদের নিশানা করে বলেন, “কেউ কেউ ওখানে ল্যাংচামহলের ল্যাংচা খেয়ে লেংচে লেংচে পৌঁছে গেছেন। তার পর আসানসোল হয়ে রামপুরহাটে যাবে। এর পর গেলে রাত হয়ে যাবে, তাই আর গেলাম না। তাই বলে রাখলাম কেউ পার পাবে না। রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে অ্যাকশন হবে।”
আরও পড়ুন ‘মমতার হাওয়াই চপ্পলে রক্তের দাগ’, বগটুইয়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ সেলিমের
মুখ্যমন্ত্রী নাম না করে বিজেপিকে তোপ দেগে বলেছেন, “আসলে ওঁরা দাঙ্গা করতে পারছে না। লোকে খেতে পাচ্ছে না। তাও বলতে পারছে না। মেয়েরা পড়াশোনা করতে পারছে না, একথা বলতে পারছে না। মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে না, একথা বলতে পারছে না। তাই দেশলাই জ্বালানো খুব সহজ না! দেশলাই জ্বালাতে চাই চক্রান্তকারীদের জুড়ি নেই। কিন্তু ওরা জানে না অন্যেক ঘরে দেশলাই জ্বালালে নিজের ঘরে এসেও পড়তে পারে। অনেক নষ্টামি, অনেক দুষ্টুমি দেখছি। কালকেও দেখেছেন, গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দিল, পেট্রলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আর এটা নিয়ে যাতে কেউ বলতে না পারে, তাই হট করে একটা ঘটনা ঘটিয়ে দিচ্ছে।”