পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে বীজপুর থানায় বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে দাবি করে স্মারকলিপিও জমা দিলেন পদ্মশিবিরের প্রতিনিধিরা। এদিন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং ও বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়ের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ চলে। সভা থেকে দাবি ওঠে, পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী অত্যাচার করছে। এই অত্যাচার বন্ধ করতে হবে।
ব্যারাকপুরের তিন পুরসভা ভাটপাড়া, হালিশহর ও কাঁচরাপাড়ায় ক্ষমতা দখল নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে টানাপোড়েন চলছেই। সম্প্রতি কাঁচরাপাড়া ও হালিশহরের বিজেপিতে যাওয়া কাউন্সিলররা ফের তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে যাচ্ছেন। এই নিয়ে বীজপুর থানা এলাকায় প্রতিদিন নতুন করে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ চলছে।
বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বক্তব্য, "বিজেপি কর্মীদের ওপর লাগাতার অত্যাচার চলছে। পুলিশি পাহারায় এইসব এলাকায় ক্লাব দখল হচ্ছে। আবার যদি বিজেপি দখল করে নেয়, সেই ভয়ে পুলিশ সেখানে ডিউটি দিচ্ছে। এই সব ব্যাপারে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আমরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। পুলিশ আইনের বাইরে গিয়ে যে কাজগুলো করছে, আমরা পুলিশকেই সেই সব বিষয় জানিয়ে এলাম।" তবে শুধু অবস্থান-বিক্ষোভ দেখিয়েই ক্ষান্ত থাকবে না বিজেপি। অর্জুন বলেন, "এবার আমারা আদালতের দ্বারস্থ হব। কী করে অপরাধীদের নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে, এ বিষয়ে জনস্বার্থ মামলা করব। এদিকে জনপ্রতিনিধিদের কোনও নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে না।"
তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে থাকা কাঁচরাপাড়া ও হালিশহর পুরসভা হাতছা়ড়া হয়ে যায় সম্প্রতি। কিন্তু এবার এই দুই পুরসভার কাউন্সিলরদের একটা বড় অংশ বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন। এখানেই বাড়ি বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের। এদিকে আবার কাঁচরাপাড়া পুরসভার কাউন্সিলর মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু। স্বভাবিকভাবেই দুদলের কাছে বাড়তি প্রেস্টিজ ইস্যু এই বিধানসভা এলাকা। রাজনৈতিক মহলের ধারনা, প্রতিনিয়ত এখানে নতুন করে উত্তেজনা বাড়ছে তাই।