নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে সমর্থন জানাচ্ছে এনডিএ শরিক শিরোমণি অকালি দল। তবে, সংবিধানের ধর্ম নিরপেক্ষতার বিষয়টি বিবেচনা করে ক্যাবের আওতায় মুসলমানদের রাখার দাবি জানানো হয়েছে অকালি দলের তরফে। ধর্মের ভিত্তিতে কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষ ক্যাবের আওতা থেকেবাদ পড়লে তা অমানবিক ও গণতন্ত্র বিরোধী হবে বলে মনে করে পাঞ্জাবের এই দলটি।
রবিবার শিরোমণি অকালি দলের বৈঠক ছিল। সেখানেই দলের প্রধান সুখবীর সিং বাদল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রীকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে তিনি জানান, এই বিলের মাধ্যমে অকালি দল ও শিখ সম্প্রদায়ের বহু মানুষের স্বপ্নপূরণ হবে। শুধু তাই নয়, বাদল জানান আশা করব, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে যেসব সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রীষ্টান ও পার্সি ভারতে এসেছেন তারাও নাগরিকত্ব পাবেন।
আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল: ‘সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নই’, দাবি অমিত শাহের
সুখবীর সিং বাদল জানান, ৩০ বছর আগে আফগানিস্তান থেকে এদেশে প্রায় ৩০ হাজার শিখ চলে এসেছিল। তাদের সংখ্যা দিল্লিতে সবচেয়ে বেশি। গত কয়েক দশক ধরে তারা অত্যন্ত অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। ক্যাব হলে এইসব শিখরা সংবিধান প্রদত্ত অধিকার জীবন ও স্বাধীনতা সংবিধান ভোগ করতে পারবেন। তবে অবশ্যই ধর্মের ভিত্তিতে কোনও বিল আনা উচিত হবে না। সংবিধানের ধর্ম নিরপেক্ষ নীতির সঙ্গেই শিখ ধর্মগুরু শিভানের নিরপেক্ষ ভাবধারা বজায় রাখতে চাইছে অকালি দল। সেই কথা বিজেপিকে স্মরণ করিয়ে দিতে চায় তাদের বন্ধু দলটি। তাদের কথায়, ঐতিহ্য মেনে ভারতের উদার মানসিকতার পরিচয় বিলে প্রতিফলিত হওয়া বাঞ্ছনীয়।
ইতিমধ্যেই তুমুল হই হট্টগোলের মধ্যে লোকসভায় পেশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিলটি পেশ করেন। বিলটি সংখ্যালঘুদের বিপক্ষে নয় বলে এদিন স্পষ্ট করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯-এর বিরুদ্ধে সরব বিরোধী শিবির। এই বিলকে বিজেপির 'বিভাজনের রাজনীতির' কৌশল বলে তোপ দেগেছে বিরোধিরা। এদিনও শুরু থেকেই কংগ্রেস সহ বিরোধিরা বিলের বিপক্ষে সোচ্চার হয়। লোকসভার কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, 'প্রশাসন উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মুসলমানদের নিশানা করছে।' চেঁচামেচির মধ্যেই বিরোধীদের উদ্দেশ্য অমিত শাহ বলেন, 'আমি সব প্রশ্নের উত্তর দেব। কিন্তু আপনারা ওয়াকআউট করবেন না।'
Read the full story in English