দীর্ঘদিন চেষ্টার পরও কর্ণাটক ছাড়া দক্ষিণে দলের তেমন একটা অস্বিস্ত নেই। সেই কারণে এবার কেরলের রাজনীতিতে বড় পদক্ষেপ করতে চাইছে বিজেপি। আর, সেই জন্য তারা কেরলের প্রভাবশালী খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করছে। কিন্তু, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের তৃণমূলস্তরে বিজেপির কোনও যোগাযোগ নেই। আর তাই, 'বাফার জোন'-এর বিরুদ্ধে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিবাদে কোথাও দেখা মিলছে না বিজেপির নেতা-কর্মীদের। এনিয়ে দলীয় নেতাদের মধ্যেও তীব্র আক্ষেপ রয়েছে।
বর্তমানে কেরলে প্রস্তাবিত বাফার জোন বা ইকো সেনসিটিভ জোন বা ইএসজেড ইস্যুতে গভীর উদ্বিগ্ন খ্রিস্টান সম্প্রদায়। কেরল সরকার রাজ্যের ২২টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এবং পার্কগুলোর আশপাশে প্রস্তাবিত এক কিলোমিটার এলাকাকে বাফার জোনভুক্ত করেছে। আর, ওই অঞ্চলগুলোর ওপর স্যাটেলাইট সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এরপরে গত মাসের শুরু থেকে কেরলজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। কেরল সরকারের বক্তব্য, ২০২২ সালের জুনে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে স্যাটেলাইট সমীক্ষা করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ীই বাফার জোন স্থির করা হয়েছে।
বাফার জোনের এই সিদ্ধান্তে খোঁড়াখুঁড়ি, বনের বাইরে নতুন স্থায়ী কাঠামো তৈরি অথবা এই জাতীয় সবরকম ক্রিয়াকলাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতে ওই অঞ্চলে বসবাসকারী কৃষকদের মধ্যে ভয় ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এই সব কৃষকদের একটি বড় অংশ আবার খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের। কেরলের ক্যাথলিক চার্চ, যার সবচেয়ে অংশই সাইরো-মালাবার ক্যাথলিক চার্চ। সেই চার্চই রাজ্যের বিভিন্ন অংশে প্রস্তাবিত বাফার জোনের বিরুদ্ধে কৃষকদের বিক্ষোভ সংগঠিত করার নেতৃত্ব দিচ্ছে।
আরও পড়ুন- বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বৈধ সমকামী বিয়ে, কোন দেশগুলো বৈধতা দিয়েছে?
চার্চ এর আগে কেরলে কৃষকদের জীবন ও জীবিকার পক্ষে সরব হয়েছিল। বাফার জোনে বন্যপ্রাণী হামলার ঘটনার বিরুদ্ধে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। গত বছর চার্চের নেতৃত্বেই কেরল কারশাকা আথিজীবন (বাঁচাও) সমিতি তৈরি হয়েছিল। এই সমিতি আসলে কেরলের বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের সমন্বয় কমিটি। যা এখন বাফার জোন এবং বনবিভাগের স্যাটেলাইট সমীক্ষার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে। কেরল কারশাকা আথিজীবন সমিতির অভিযোগ, প্রস্তাবিত বাফার জোনে স্যাটেলাইট সমীক্ষা গোটা পরিস্থিতিকে তুলে ধরেনি। বিশেষ করে ওই অঞ্চলে বসবাসকারী মানব বসতিগুলোকে বাফার জোন উপেক্ষা করেছে।
Read full story in English