বীর বাহাদুর সিং গুলিকাণ্ডে এবার মেটিয়াবুরুজ চলোর ডাক দিচ্ছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার মেটিয়াবুরুজে সভা করতে গেলে খিদিরপুরে বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও দলের অন্যান্য নেতৃত্বকে আটকে দেওয়া হয়। পুলিশি বাধায় শেষমেশ মেটিয়াবুরুজে এদিনের সভা বাতিল করতে বাধ্য হয় বিজেপি। মুকুল রায়ের দাবি, "পুলিশ ও তৃণমূল কংগ্রেস যৌথভাবে আমাদের আটকে দেয় খিদিরপুরে। ইট, পাথর ছুড়়ে রীতিমতো আক্রমণ করা হয় বিজেপি নেতা ও কর্মীদের ওপর"। পরে সাংবাদিক বৈঠকে মুকুল রায় বলেন, "আমরা মেটিয়বুরুজ চলোর ডাক দেব। কবে হবে তা দলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে"।
আরও পড়ুন: সরে গেলেন বৈশাখী, চরম সিদ্ধান্ত শোভন-বান্ধবীর
বিজেপির অভিযোগ, মেটিয়াবুরুজের লিচুবাগানের বাসিন্দা বীর বাহাদুর সিংয়ের ওপর গুলি চালিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে বীর বাহাদুর সিংয়ের। ইতিমধ্যে তাঁকে দেখতে হাসপাতালে ও বাড়িতে গিয়েছেন রাজ্যের বিজেপি পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়-সহ একাধিক বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে বৃহস্পতিবার দুপুরে কেশোরাম কটন মিলের গেটের সামনে বিক্ষোভ-সভা করার কথা ছিল মুকুল রায় ও সব্যসাচী দত্তের। সভায় যাওয়ার পথে খিদিরপুরে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। বিজেপি নেতৃত্বকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা।
আরও পড়ুন: ‘কোনওরকমে প্রাণ নিয়ে ফিরেছি’, মুকুলের গলায় আতঙ্কের সুর
এদিনের সভার অনুমতিও দেয়নি পুলিশ। উত্তেজনার সৃষ্টি হয় খিদিরপুর এলাকায়। মুকুল রায় বলেন, "বিজেপি বিক্ষোভ সভা করবে বলে ডিসি পোর্টের কাছে আবেদন করেছিল। অনুমতি দেওয়া হয়নি। বরং ডিসির নেতৃত্বে মঞ্চ ভেঙা হয়েছে। যাঁরা মঞ্চ তৈরি করছিল তাঁদের তাড়িয়ে দেয় পুলিশ। আমরা ঠিক করেছিলাম যতদূর যাওয়ার যাব। ভূকৈলাশের কাছে পুলিশ আমাদের আটকে দেয়। অপর দিক থেকে তৃণমূল বাহিনী আমাদের ওপর হামলে পড়ে। ইট, পাথর ছুড়তে থাকে। ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়। সভা বাতিল করতে হয়"।