বাংলার বিধায়কদের বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআইয়ের চার্জশিট দেওয়ার প্রক্রিয়া, রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুললেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচার ব্যবস্থার যেকোনও মামলা গ্রহণের বিষয়টি নিয়েও বুধবার স্পিকারদের সর্বভারতীয় সম্মেলনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিমানবাবু। এ নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছেন বলেও মনে করেন তিনি। পাল্টা, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার স্পিকারের ভবমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁকে নিশানা করেছে বিজেপি। 'গত ১০ বছরের বেশি সময়ে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের নেতা হয়েই রয়ে গিয়েছেন। পরিষদীয় ব্যবস্থাকে তামাশায় পরিণত করেছেন' বলে মন্তব্য করেন বঙ্গ বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।
Advertisment
কী বলেছেন স্পিকার?
বুধবারের স্পিকারদের সর্বভারতীয় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি ক্ষোভ উগড়ে দেন। সূত্রের খবর, তিনি জানিয়েছেন যে, বিধানসভার কাজে অযথা রাজ্যপাল নাক গলাচ্ছেন। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে যে অনেকে নসভার বিষয় নিয়ে রাজ্যপালের কাছে যাচ্ছেন,আর রাজ্যপালও তারপর বিনসভাকে পরামর্শ দিচ্ছেন। এটা বোধহয় ঠিক নয়।
দুই মন্ত্রী সহ তিন জন বিধায়কের বিরুদ্ধে চার্ঝশিট দিয়েছে কেনদ্রীয় গোন্দা সংস্থা। ইতিমধ্যেই এই ইস্যুকে সিবিআই, ইডি-র আধিকারিকদের ডেকে পাঠিছেন স্পিকার। এবার এ নিয়ে সর্বভারতীয় স্পিকার সম্মলনেও সরব হলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, লোকসভার কোনও সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে স্পিকারের অনুমতি নিতে হচ্ছে, কিন্তু বাংলায় বিধানসভার কোন সদস্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা পদক্ষেপ করলে স্পিকারের অনুমতি নিচ্ছে না।
পাশাপাশি আদলতের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বাংলার স্পিকার। তাঁর মতে, যেসব সমাধান বিধানসভায় হয়ে যায় সেগুলো নিয়েই কেউ কেউ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন। আদালতও সেই সব মামলা গ্রহণ করছে। এতে বিধানসভায় গড়িমা নষ্ট হচ্ছে।
স্পিকারের এই যুক্তির বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দেগেছে পদ্ম বাহিনী। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, 'গত ১০ বছর ধরে বিমানবাবু স্পিকার নয়, তৃণমূল নেতা হয়েই রয়ে গিয়েছে। বিধানসভায় আলোচনার পরিষর নেই। ওনার সামনেই রাজ্যপালতে হেনস্থা করা হয়েছে। মুকুল রায় সহ গত ১০ বছরের একাধিক দলত্যাগী বিধায়কদের বিরুদ্ধে উনি কোনও পদক্ষেপ করেননি। পরিষদীয় ব্যবস্থাকে স্পিকার তামাশায় পরিণত করেছেন।'
এপ্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'স্পিকার সংবিধান মোতাবেক কাজ করলেই প্রতিবাদ করব। প্রয়োজনে আবারও আদালতে যাব।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
'বাংলার স্পিকার তৃণমূল নেতা-পরিষদীয় ব্যবস্থাকে তামাশায় পরিণত করেছেন', কড়া আক্রমণ বিজেপির
বাংলার বিধায়কদের বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআইয়ের চার্জশিট দেওয়ার প্রক্রিয়া, রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুললেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
Follow Us
বাংলার বিধায়কদের বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআইয়ের চার্জশিট দেওয়ার প্রক্রিয়া, রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুললেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচার ব্যবস্থার যেকোনও মামলা গ্রহণের বিষয়টি নিয়েও বুধবার স্পিকারদের সর্বভারতীয় সম্মেলনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিমানবাবু। এ নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছেন বলেও মনে করেন তিনি। পাল্টা, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার স্পিকারের ভবমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁকে নিশানা করেছে বিজেপি। 'গত ১০ বছরের বেশি সময়ে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের নেতা হয়েই রয়ে গিয়েছেন। পরিষদীয় ব্যবস্থাকে তামাশায় পরিণত করেছেন' বলে মন্তব্য করেন বঙ্গ বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।
কী বলেছেন স্পিকার?
বুধবারের স্পিকারদের সর্বভারতীয় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি ক্ষোভ উগড়ে দেন। সূত্রের খবর, তিনি জানিয়েছেন যে, বিধানসভার কাজে অযথা রাজ্যপাল নাক গলাচ্ছেন। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে যে অনেকে নসভার বিষয় নিয়ে রাজ্যপালের কাছে যাচ্ছেন,আর রাজ্যপালও তারপর বিনসভাকে পরামর্শ দিচ্ছেন। এটা বোধহয় ঠিক নয়।
দুই মন্ত্রী সহ তিন জন বিধায়কের বিরুদ্ধে চার্ঝশিট দিয়েছে কেনদ্রীয় গোন্দা সংস্থা। ইতিমধ্যেই এই ইস্যুকে সিবিআই, ইডি-র আধিকারিকদের ডেকে পাঠিছেন স্পিকার। এবার এ নিয়ে সর্বভারতীয় স্পিকার সম্মলনেও সরব হলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, লোকসভার কোনও সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে স্পিকারের অনুমতি নিতে হচ্ছে, কিন্তু বাংলায় বিধানসভার কোন সদস্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা পদক্ষেপ করলে স্পিকারের অনুমতি নিচ্ছে না।
আরও পড়ুন- কোভিডবিধি লঙ্ঘন: প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে নালিশ তৃণমূলের, জবাবদিহি চিঠি কমিশনের
পাশাপাশি আদলতের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বাংলার স্পিকার। তাঁর মতে, যেসব সমাধান বিধানসভায় হয়ে যায় সেগুলো নিয়েই কেউ কেউ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন। আদালতও সেই সব মামলা গ্রহণ করছে। এতে বিধানসভায় গড়িমা নষ্ট হচ্ছে।
স্পিকারের এই যুক্তির বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দেগেছে পদ্ম বাহিনী। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, 'গত ১০ বছর ধরে বিমানবাবু স্পিকার নয়, তৃণমূল নেতা হয়েই রয়ে গিয়েছে। বিধানসভায় আলোচনার পরিষর নেই। ওনার সামনেই রাজ্যপালতে হেনস্থা করা হয়েছে। মুকুল রায় সহ গত ১০ বছরের একাধিক দলত্যাগী বিধায়কদের বিরুদ্ধে উনি কোনও পদক্ষেপ করেননি। পরিষদীয় ব্যবস্থাকে স্পিকার তামাশায় পরিণত করেছেন।'
এপ্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'স্পিকার সংবিধান মোতাবেক কাজ করলেই প্রতিবাদ করব। প্রয়োজনে আবারও আদালতে যাব।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন