দলীয় কর্মী খুনের প্রতিবাদে ১২ ঘন্টার বাগনান বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই হাওড়ার বাগনানের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। তবে স্টেশন সংলগ্ন বাজার-হাট আংশিক খোলা রয়েছে। বনধের বিরোধিতা করে সকাল থেকেই পথে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির নেতারাও বাগনানে কর্মসূচি নিয়েছে। এককথায় উত্তপ্ত বাগনান। বিশাল পুলিশ বাহিনী বাগনানের নানা জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে।
বাগনানের বিজেপি নেতা কিঙ্কর মাঝিকে তাঁর বাড়ির সামনে অষ্টমীর রাতে দুষ্কৃতীরা গুলি করে বলে অভিযোগ। জখম কিঙ্কর মাঝিকে প্রথমে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর কলকাতায় এনআরএসে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। বুধবার দলীয় নেতাকে খুনের প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার বাগনান বনধের ডাক দেয় বিজেপি। দলের রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি তথা বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-এর বাগনানে বনধের সমর্থনে কর্মসূচি রয়েছে।
আরও পড়ুন, “কাজ করতে গেলে কারও ছাড়পত্র লাগে না”, শুভেন্দুর মন্তব্যে জল্পনা তুঙ্গে
এদিকে, বনধের বিরোধিতা করে মিছিল করার কথা রয়েছে তৃণমূলের। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তৃণমূল পথেও নেমেছে। বিজেপি এই ঘটনার দায় চাপিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের উপরে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, এটা একেবারেই পারিবারিক বিবাদের ঘটনা। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কোনওভাবেই জড়িত নয়। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সে এলাকায় দাগি দুষ্কৃতী বলেই পরিচিত।
ইতিমধ্যে বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চলেছে বলে খবর। বনধকে কেন্দ্র করে যাতে বাগনানে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য বিশাল পুলিশ বাহিনী, র্যাফের পাশাপাশি জলকামানও মজুত রাখা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন