ভাইপোর মাধ্যমে লুঠ চলছে বাংলায়, তোপ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

"পরিযায়ী শ্রমিকরা বাংলায় ফিরতে চেয়েছিল। কিন্তু রাজ্য আপত্তি জানিয়ে লকডাউনে অমানবিক কাজ করেছে।"

"পরিযায়ী শ্রমিকরা বাংলায় ফিরতে চেয়েছিল। কিন্তু রাজ্য আপত্তি জানিয়ে লকডাউনে অমানবিক কাজ করেছে।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
ফের নয়া রেকর্ড, রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ২ হাজার ছাড়াল

অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। ছবি: ফেসবুক।

২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পারদ ক্রমশ চড়ছে। একদিকে ময়দানে অন্য দিকে ভার্চুয়াল জনসভার মাধ্যমে কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের ভার্চুয়াল জনসভায় কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সরাসরি অভিযোগের তির ছুড়লেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তাছাড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে রাজ্যের ব্যবহার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

Advertisment

এরাজ্যে বিজেপির প্রথম ভার্চুয়াল জনসভায় বক্তব্য রেখেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারপর মেদিনীপুর ও হাওড়া জোনের ভার্চুয়াল সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন সাংসদ ভূপেন্দর যাদব। এদিন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও ইস্পাতমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান করোনা ও আমফান পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে তুলোধনা করেন। সিন্ডিকেট নিয়ে ফের সরব হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

আরও পড়ুন- ত্রাণ দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছে ক্ষতিগ্রস্তরা

আমফানের পরই রাজ্যে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, "২২ মে আমফান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০০০কোটি টাকা পশ্চিমবঙ্গের জন্য আমফান তহবিলে সাহায্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি কথা দিয়ে কথা রেখেছিলেন। কেন্দ্রীয় দল গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দেখে রিপোর্ট দেবে বলেও মোদীজি জানিয়ে দেন। অথচ এই রাজ্যে করোনার সময় চাল এবং আমফানের দেওয়া কেন্দ্রীয় সাহায্য নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে।" কেন্দ্রীয় মন্ত্রী 'দিদি'-র উদ্দেশে বলেন, "এখানে শুধু তৃণমূল কর্মীদের সমস্যা আর সিন্ডিকেট রাজ চলে। দিল্লি থেকে মোদীজির পাঠানো বাংলার জনগণের জন্য টাকা-পয়সা সিন্ডিকেট ও ভাইপোর মাধ্যমে লুঠ করা হয়। এসব বেশি দিন চলবে না। ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসার জবাব পেয়েছেন ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে। এই অত্যাচারের জবাব মিলবে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে।"

Advertisment

আরও পড়ুন- দিলীপ-মুকুলের পরস্পর বিরোধী অবস্থান কি বাংলায় পদ্ম ফোটাতে বাধা?

২০২১ নির্বাচনে পরিযায়ী শ্রমিকরা যে পৃথক ভোট ব্যাংক হচ্ছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এ প্রসঙ্গে এদিন ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, "পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি রাজ্য সরকার অবিচার করেছেন। পরিযায়ী শ্রমিকরা বাংলায় ফিরতে চেয়েছিল। কিন্তু রাজ্য আপত্তি জানিয়ে লকডাউনে অমানবিক কাজ করেছে। পরিযায়ী শ্রমিকরা ক্ষমা করবেন না।"

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Abhijit Banerjee tmc amphan bjp