ইসলামপুরের দাড়িভিটে দুই ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ২৬ সেপ্টেম্বর বাংলা বনধের ডাক দিল বিজেপি। অন্যদিকে, ওই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। পাশাপাশি সংঘ নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছেন, এই ঘটনায় যেহেতু আরএসএসকে দায়ি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, উনি যদি প্রমাণ দিতে না পারেন, তাহলে বৃহত্তর আন্দেলনে নামবেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী শোকপ্রকাশ না করায় ক্ষোভ জানিয়েছে আরএসএস। এদিকে বনধের মোকাবিলায় মিলান থেকে মুখ্যমন্ত্রী কড়া নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসনকে। প্রশাসন বনধ পরিস্থিতির যাতে সৃষ্টি না হয়, তার ব্যবস্থা নিচ্ছে।
এদিন কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক বৈঠকে আরএসএসের দক্ষিণ বঙ্গের সাধারন সম্পাদক জিষ্ণু বসু বলেন, "শিক্ষামন্ত্রী ইসলামপুরের ঘটনায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ যুক্ত বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি প্রমাণ দেখান আরএসএস কীভাবে যুক্ত। আর যদি প্রমান না দিতে পারেন, তাহলে নিঃশর্তে আরএসএসের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো। এত বড় সংগঠনের বদনাম করেছেন মন্ত্রী। গণ আন্দোলন এবং আইনি পথে যাবে আরএসএস।"
আরও পড়ুন: ইসলামপুরে ছাত্র মৃত্যুর প্রতিবাদে বিজেপি-র ডাকা বনধে মিশ্র সাড়া, সরকারি বাস ভাঙচুর
এদিকে বিজেপির নবান্ন অভিযান বদলে গেল বাংলা বনধে। দুই ছাত্র মৃত্যুর প্রতিবাদে ২৬ সেপ্টেম্বর ১২ ঘণ্টা বাংলা বনধের ডাক দিল বিজেপি। এদিন দলের রাজ্য দপ্তরে একথা বলেন দলের সাধারন সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনায় যুক্ত পুলিশ আধিকারিকদের শাস্তিরও দাবি করেছে বিজেপি। দলনেতা মুকুল রায়ের বক্তব্য, "বাংলায় অরাজক অবস্থা চলছে। ওই দিন পুলিশ নির্মমভাবে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে দুই ছাত্রকে।"
পুলিশ দাবি করছে দাড়িভিটে বহিরাগতরা গুলি চালিয়েছে। পুলিশ গুলি চালায়নি। সেই গুলির আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে দুজনের। আরএসএসের কথা, "মৃত দুজনের পোস্টমর্টেম হয়ে গিয়েছে। এবার স্পষ্ট করে পুলিশ বলুক, গুলি চালিয়েছে না চালায়নি। পুলিশ জানাক কত বোরের গুলির চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে পোস্টমর্টেমে।"
জিষ্ণুবাবু বলেন, "পুলিশ বলছে বহিরগতরা অস্ত্র নিয়ে এসেছে। তাহলে ওই এলাকায় কত অস্ত্র আছে? এসব কথাবার্তা একেবারে হাস্যকর ও যুক্তিহীন। তার জন্য আমরা সিবিআই তদন্ত দাবি করেছি। এই ধরনের ঘটনা রাজ্যে যাতে আর একটাও না হয় তার জন্য রাজ্যের মানুষ, বুদ্ধিজীবীরা রাস্তায় নামুন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনও উত্তর না পেলে আরএসএস বড় ধরনের আন্দোলনে নামবে।"
আরএসসের দাবি, "মৃতরা রাজেশ সরকার ও বর্মন দলিত। এ রাজ্যে গরীব-দলিতদের ওপর ক্রমাগত অত্যাচার চলছে। শিক্ষার দাবিতে মরতে হল দুজনকে। গ্রামের কোনও মানুষ ভয়ে বলেননি যে পুলিশ গুলি চালিয়েছে।"