আপ-বিজেপি সংঘাত চরমে। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে আপ প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাংলো সাজাতে ৪৫ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে, রয়েছে ৮ লক্ষ টাকা দামের পর্দা এবং দেড় কোটির মার্বেল। বিজেপির এহেন অভিযোগ প্রসঙ্গে পালটা সরব হয়েছে আপও।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাংলো সংস্কার নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাংলো সংস্কারে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ৮ লাখ টাকার পর্দা বসানো হয়েছে। একই সময়ে মার্বেল বসাতে খরচ হয়েছে দেড় কোটির বেশি। বাড়িতে যে কার্পেট বিছানো হয়েছে তার দাম লাখ টাকা; আপাতত এই নিয়ে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে বড়সড় আক্রমণ করেছে বিজেপি। বিজেপি নেতারা বলছেন কেজরিওয়ালের ‘সম্পূর্ণ সততা’ প্রকাশ পেয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারীর সময়ে ঘর সাজাতে এত বিপুল অর্থ ব্যয় করা হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কেজরিওয়ালের পদত্যাগও দাবি করেছে বিজেপি।
প্রতিবেদন অনুসারে বলা হয়েছে, কেজরিওয়ালের বাংলোতে একটি পর্দার দাম ৮ লাখ টাকা এবং এ ধরনের ২৩টি পর্দার অর্ডার দেওয়া হয়েছে। ভিয়েতনাম থেকে ১ কোটি ১৫ লাখ টাকার মার্বেল আমদানি করা হয়েছে এবং ৪ কোটি টাকার প্রি-ফেব্রিকেটেড কাঠ বসানো হয়েছে। এই নিয়ে বিজেপি আক্রমণ শানিয়েছেন কেজরিওয়ালকে।
বিজেপির অভিযোগ দিল্লি যখন কোভিডের সাথে লড়াই করছিল, তখন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তার বাড়ি মেরামতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেছিলেন। যেখানে ২০১৩ সালে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি বলেছিলেন যে তিনি বাড়ি নেবেন না, নিরাপত্তা নেবেন না, সরকারি গাড়িও নেবেন না বলে দাবি করেন। কিন্তু বাড়ি মেরামতে খরচ হচ্ছে ৪৫ কোটি টাকা।
বিজেপির এই অভিযোগ প্রসঙ্গে আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ রাঘব চাড্ডা বলেছেন বিজেপির এটা সরকারি বাড়ি, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সম্পত্তি নয়। চাড্ডা বলেছিলেন যে আপনি যদি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন এবং অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বাসভবনের সাথে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের খরচ তুলনা না করেন তবে আপনি কীভাবে বুঝবেন এটি কম না বেশি।
চাড্ডা আরও বলেন, কেজরিওয়াল যে বাড়িটিতে থাকেন তা ১৯৪২ সালে তৈরি হয়েছিল। ঘরের ভিতর থেকে বেডরুম পর্যন্ত ছাদ থেকে জল পড়ত। পিডব্লিউডি অডিট করেই তা মেরামতের বরাত দিয়েছে। তিনি বলেন, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজের বাসভবন রং করতে ২০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির বাসভবন তৈরি হচ্ছে, যার আনুমানিক খরচ ৫০০ কোটি টাকা।