এলাকায় নাকি মাশার উপদ্রব ক্রমেই বাড়ছে। জনপ্রতিনিধি নির্বিকার। পুরনিগমকে বলেও লাভ হয় না। কোভিডকালের ভোটে তাই মশার বাড়বাড়ন্তই অন্যতম ইস্যু চন্দননগরের ১ নম্বর ওয়ার্ডে। বিজেপি প্রার্থী মশারি অবৃত হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। নজরকাড়া এই প্রচার দেখতে ভিড় জমছে। যা থেকেই ইভিএম লাভের গুড় মিলতে পারে বলে আশা পদ্ম-কূলের।
চন্দননগর পুরনিগমের ১ নম্বর ওয়ার্ডের জিটি রোড ধরে তালডাঙ্গা পর্যন্ত ঘুরছেন বিজেপি প্রার্থী গোপাল চৌবে। তবে মশারির মধ্যে ঢুকে প্রচার করছেন তিনি। আর তাঁর হয়ে লিফলেট বিলোচ্ছেন পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ।
কোভিডকালে চন্দনগরেরই এক তৃণমূল প্রার্থী বাড়ি বাড়ি জীবাণুমুক্তকরণের কাজ করে প্রচার সারছেন। তাহলে এই ভরা করোনাকালে কেন প্রচারের উপকরণ মশারি? উত্তরে বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ বলেন, 'এই ওয়ার্ড ডেঙ্গু প্রবণ। বিগত ১০ বছর ক্ষমতায় থেকেও তৃণমূল এই ওয়ার্ডের জন্য কিছু করেনি। আবর্জনা জমে থাকে, এলাকার নর্দমা সাফ হয় না। তাই ডেঙ্গু মশার বাড়বাড়ন্ত। ফলে মশার হাত থেকে বাঁচতে মশারি নিয়ে প্রচার চলছে।'
২৬ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থী সন্ধ্যা দাসের হয়ে প্রচারে কমিশনের স্থির করা করোনাবিধি লঙ্ঘন করায় গত ৯ জানুয়ারি গ্রেফতার হয়েছিলেন বিধায়ক বিমান ঘোষ। পরে জামিনে মুক্তি পান তিনি। এ দিনও সেই একই ছবি। বিজেপির প্রচারে প্রশ্নের মুখে দূরত্ববিধি। ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রচারে কমিশন নির্দিষ্ট সংখ্যার বেশি গেরুয়া দলের কর্মী, সমর্থকের সমাগম। যদিও, পদ্ম শিবিরের পাল্টা দাবি, পুলিশ দলদাস। বিধিই ভেঙে তৃণমূল গাদাগাদি ভিড়ে প্রচার করলেও পুলিশ দেখতে পায় না।