পরনে গেরুয়া কুর্তা, কপালে তিলক, মাথায় হিমাচলি টুপি। ৪৩ বছর বয়সি জনক রাজ। হিমাচলের চাম্বা জেলার ভারমৌরের বিজেপি প্রার্থী পেশায় একজন নিউরোসার্জেন। সিমলার ইন্দিরা গান্ধী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট। প্রচারেও পেশাগত সেই স্বভাব ঝালিয়ে নিতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন দলীয় কর্মীদের নিয়ে। ভোটারদের কেউ অসুস্থতার কথা জানালে দেখেও দিচ্ছেন। সমর্থকরাও তাঁদের প্রার্থীর পেশাকেই প্রচারে সামনে রাখছেন। শনিবার তাঁর সভা ছিল। সেখানেও সমর্থকদের স্লোগান দিতে দেখা গেল, 'ডক্টরজি কো জয় শ্রীরাম, ডক্টরজি কো জয় শ্রীরাম।'
জনক রাজ, গাদ্দি রাজপুত সম্প্রদায়ের একজন সদস্য। তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকা উপজাতি অধ্যুষিত ছোট্ট গ্রাম ব্রেহিতে শনিবার প্রচার চালান। গ্রামবাসীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন। যাঁদের বেশিরভাগই আবার গাদ্দি সম্প্রদায়ের। রাজের প্রধান প্রতিপক্ষ, প্রাক্তন বনমন্ত্রী তথা কংগ্রেস প্রার্থী ঠাকুর সিং ভরমৌরি (৭৫)। যিনি মন্ত্রী থাকাকালীন অবৈধ গাছ কাটা এবং দুর্নীতির ব্যাপক অভিযোগ উঠেছিল। সেনিয়ে বক্তব্যে কটাক্ষ করতেও শোনা গেল রাজকে।
আরও পড়ুন- আন্ধেরি (পূর্ব) বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী রুতুজা লাটকে, মানুষ পাশে আছেন, দাবি উদ্ধবের
তিনি বললেন, 'ভরমৌরিজি সচ মে জমিন সে জুড়ে নেতা হ্যায়। তবহি তো গরিব লোঁগন কি জমিনে হড়ফতে হ্যায় (ভরমৌরজি প্রকৃতই জমির সাথে যুক্ত থাকা একজন নেতা, সেই কারণেই তো তিনি গরিবদের জমি হাতিয়ে নিয়েছেন)।' জনক রাজ যখন এই কথা বলছেন, তখন সভায় হাসির রোল ওঠে। বহু সমর্থককে হাততালি দিতেও শোনা যায়।
এই কেন্দ্রে এখনও ধাতব রাস্তা দরকার। সরকারি স্কুলে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক-সহ হাসপাতাল দরকার। এখানে দলের বিধায়ক ছিলেন জিয়ালাল কাপুর। তাঁকে উপেক্ষা করেই বিজেপির টিকিট দেওয়া হয়েছে রাজকে। তা নিয়ে দলের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ কম নেই। তবে, বিষয়টিকে বেশ মজার দৃষ্টিতেই দেখছেন ডাক্তার প্রার্থী। দলীয় কর্মীদের কাছে মজার সুরে বলতে শোনা যাচ্ছে, তিনি নাকি আসলে দলের 'ডাবল প্যাকেজ'।
Read full story in Kolkata