মধ্যে পেরিয়ে গিয়েছে দুই দশক। কিন্তু, তারপরও ২০০২ সাল প্রভাব ফেলল ২০২২ সালের গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে। দুই বিজেপি বিধায়ক যেন তারই ওপর ভিত্তি করে তাঁদের জয়ের মার্জিনটা বাড়িয়ে নিলেন। ২০০২ সালে ঘটেছিল গুজরাট দাঙ্গা। ওই দাঙ্গায় অভিযুক্ত মনোজ কুকরানির মেয়ে পায়েল নারোদায় জিতলেন ৭১% ভোট পেয়ে।
আর, গোধরার বিদায়ী বিধায়ক সিকে রউলজিও বাড়িয়ে নিলেন তাঁর জয়ের ব্যবধান। আগে কংগ্রেসে ছিলেন রউলজি। কংগ্রেস ছাড়ার পর রউলজি গোধরায় অল্প ব্যবধানে জিতেছিলেন। এবার বিজেপি নেতা হিসেবে তাঁর ভূমিকা অনেক স্পষ্ট হয়েছে। বেড়ে যাওয়া জয়ের ব্যবধান সেটাই যেন স্পষ্ট করে দিল।
বিজেপি এই নির্বাচনে তার সব তারকা প্রচারকদেরই ব্যবহার করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মারা নরোদা এবং গোধরার নির্বাচনী চালিয়েছেন। আর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রচারে এসে তো সেই ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার প্রসঙ্গ সরাসরি উল্লেখই করেছেন। গুজরাট দাঙ্গার বেশ কয়েকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি দাবি করেছেন যে, 'দাঙ্গাকারীদের উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া গেছে।'
নারোদা পাটিয়ার ঘটনা গুজরাট দাঙ্গার অন্যতম বড় অংশ। সেখানে অভিযুক্ত মনোজ কুকরানির মেয়ে পায়েল পেয়েছেন ১.১২ লক্ষ বা ৭১% ভোট। যা ২০১৭ সালে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী বিজেপিরই বলরাম থাওয়ানির চেয়েও কয়েকগুণ ভালো পারফরম্যান্স। বলরাম পেয়েছিলেন ৬৫% ভোট।
আরও পড়ুন- ব্যবহারকারীদের তথ্য, ছবি ও সার্চিং নিয়ন্ত্রণ করেছে টুইটার, রুখতে কী ব্যবস্থা কেন্দ্রের?
নরোদা, ২০০২ সালের পর থেকেই বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। নারোদার দাঙ্গায় অভিযুক্ত মায়া কোডনানি একসময়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। তিনি দাঙ্গার পর নরোদা আসন থেকে ধারাবাহিকভাবে এক লক্ষেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন।
নরোদার লড়াই ছিল মূলত বিজেপি এবং আপের মধ্যে। এখানে আপের প্রার্থী ছিলেন ওমপ্রকাশ তিওয়ারি। এই ওমপ্রকাশ আবার ২০১৭ সালে কংগ্রেসের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। আর এবার, কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে নারোদায় প্রার্থী হয়েছিলেন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) প্রার্থী। তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
Read full story in English