বিজ্ঞাপন বিতর্কে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে ও তাঁর সংগঠনকে চরম বার্তা দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাঁদের মনে করিয়ে দিলেন যে 'লক্ষ্মণ রেখা' পার করা উচিত নয়। সামনেই ২০২৪ সালের লোকসভা এবং মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন। তাতে বিজেপির একার পক্ষে বিরোধীদের টক্কর দেওয়া অসম্ভব। এজন্য শিণ্ডে আর তাঁর বাহিনীকে লাগবেই। একথা বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্বেরও অজানা নয়। তারপরও শিণ্ডে সেনাকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
তার কারণ, এক বিজ্ঞাপন। মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের প্রথমসারির সব সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপনটি প্রকাশিত হয়েছে। পাতাজোড়া সেই বিজ্ঞাপনে লেখা হয়েছে, 'ভারতের জন্য মোদী, মহারাষ্ট্রের জন্য শিণ্ডে। এই স্বপ্নের দল সবার পছন্দ।' আর, তাতেই চটেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতারা। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে এক সমীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। যাতে দেখা যাচ্ছে, শিণ্ডেই সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর পিছনে ২৬% জনসমর্থন রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে জনপ্রিয়তায় শিণ্ডের ঠিক পিছনেই আছেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। তাঁর পিছনে রয়েছে ২৩.২ শতাংশ জনসমর্থন।
আর, সেসব দেখেই খুশিতে ডগমগ শিণ্ডে সংবাদপত্রে পাতাজোড়া বিজ্ঞাপন দিয়ে বসেছিলেন। যার জেরে চটেছেন বিজেপির দিল্লির নেতারা। শিণ্ডের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সূত্রের খবর, তাঁরা শিণ্ডেকে লক্ষ্মণরেখা অতিক্রম না-করার পরামর্শ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- জয়ললিতার প্রাক্তন অনুগামী, ডিএমকের জমানায় ঝড়ের বেগে উত্থান, কে এই সেন্থিল বালাজি?
ধমক খেয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবশ্য ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি পালটা বিভিন্ন সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। যেখানে শাহ ও ফড়নবিশের সঙ্গে তিনি নিজের ছবি ছেপেছেন। নতুন বিজ্ঞাপনে ফড়নবিশের তুলনায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর এগিয়ে থাকা নিয়ে সমীক্ষার প্রসঙ্গও বাদ দেওয়া হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, বিজেপি-শিবসেনার শাসকজোটের পিছনে ৪৬.৪ শতাংশ জনসমর্থন আছে। বিরোধীরা সব মিলিয়ে পেতে পারেন ৩৪.৬ শতাংশ ভোট। বিজেপি সূত্রে খবর, প্রকাশিত আগের বিজ্ঞাপনে শিণ্ডের সঙ্গে ফড়নবিশের তুলনা করা হয়েছিল। যা মোটেই ভালোভাবে নেননি শাহ এবং নাড্ডারা।