সিএএ-এর পক্ষে পদযাত্রা করছে বিজেপি। মানুষের কাছে তুলে ধরছে নয়া আইনের ব্যাখ্যা। ঠিক সেই সময়ই দলের মধ্যেই থেকেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেতা তথা নেতাজির নাতি চন্দ্রকুমার বসু। সিএএ-তে কেন মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি? টুইট করে তাই জানতে চেয়েছেন রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি। তাঁর মতে, ভারত সব ধর্মের মানুষের জন্য উন্মুক্ত।
আরও পড়ুন: LIVE: বিজেপি হিন্দু-মুসলমান করতে চায়, আমরা হিন্দুস্তান আন্দোলন চাই: মমতা
বেশ কয়েকটি টুইটের মাধ্যমে এদিন সিএএ-তে মুসলমানদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সওয়াল করেন চন্দ্রকুমার বসু। টুইটে তিনি লিখেছেন, 'সিএএ-২০১৯ যদি কোনও ধর্মের জন্য নাই হবে তাহলে কেন হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান জৈন ও পার্সিদের কথা উল্লেখ রয়েছে? কেন মুসলিমদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হল না? আরও স্বচ্ছতার প্রয়োজন রয়েছে।' তাঁর যুক্তি, 'মুসলিমরা যদি নিজেদের দেশে অত্যাচারিত না হন, তাহলে তাঁরা এ দেশে আসতেন না। তাই তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করায় কোনও ক্ষতি নেই। তা ছাড়া এই ধারনা সম্পূর্ণ সত্যিও নয়। কারণ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বালুচ আহমদিয়াদের কী অবস্থা?' অন্য একটি টুইটে তিনি লিখেছেন, 'অন্যকোনও দেশের সঙ্গে ভারতের তুলনা চলে না। এদেশ সব ধর্মের জন্য উন্মুক্ত।'
চলতি মাসেই সংসদের দুই কক্ষে পাস হয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। তারপর থেকেই দেশজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির দাবি, নয়া আইন ধর্মের ভিত্তিতে গঠিত। দেশ ভাগের ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই প্রতিবাদ ঘিরে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সিএএ ও প্রস্তাবিত এনআরসি লাগুতে বেঁকে বসছে এনডিএ শরিকরাও। বেকায়দায় বিজেপি। ঠিক তখনই ২০২১ বিধানসভাকে পাখির চোখ করা বাংলায় দলের রাজ্য সহ-সভাপতির কাছ থেকেই উল্টো সুর বেশ তাৎপর্যবাহী বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দলিত থেকে মতুয়া, সবাই নাগরিকত্ব পাবেন: নাড্ডা
বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারের শিকার হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পার্সি জৈন সম্প্রদায়ের শরনার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে নয়া নাগরিকত্ব আইনে। সোমবারই কলকাতায় সিএএ-এর পক্ষে বিশাল মিছিল করেছে পদ্ম বাহিনী। কেন নয়া আইনে মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি তা বুঝিয়েছেন। আশ্বাস দিয়েছেন ভারতীয় কোনও মুসলমানের এতে কোনও ভয়ের কারণ নেই। এর কযেক ঘন্টার মধ্যে দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা চন্দ্রকুমার বসুর টুইটে স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।
Read the full story in English