আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে সাংগঠনিক রদবদলে মন দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। পাঞ্জাব, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্র এবং ঝাড়খণ্ডকে নতুন করে সাজিয়ে তুলতে এই সব রাজ্যগুলোর প্রধানের মুখ বদল করা হল। যে রাজ্যগুলোর নেতাদের মুখ বদল হল, তার মধ্যে তেলেঙ্গানায় চলতি বছরের শেষের দিকেই বিধানসভা নির্বাচন আছে। সেই তেলেঙ্গানায় দলের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হল সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডিকে। মঙ্গলবার বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা এই নিয়োগ করেছেন।
Advertisment
তবে, রেড্ডির ওপর যাবতীয় দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়ে দল নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকার নীতি নেয়নি। দলটি তেলেঙ্গানায় বিজেপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারপার্সন করা হয়েছে এটেলা রাজেন্দরকে। এতে তেলেঙ্গানায় যেমন দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামাল দেওয়া সম্ভব হবে। তেমনই দায়িত্ব ভাগ হওয়ায় রাজেন্দর ও রেড্ডির কাছে কাছের সঠিক হিসেবে চাওয়া সম্ভব হবে বলেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ধারণা।
তেলেঙ্গানায় রদবদলের পাশাপাশি পঞ্জাব ও ঝাড়খণ্ডেও বিজেপি তাদের সভাপতি বদল করেছে। তার মধ্যে সুনীল জাখরকে পঞ্জাব বিজেপির সভাপতি নিযুক্ত করা হয়েছে। আর, বর্ষীয়ান নেতা তথা ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারান্ডিকে ঝাড়খণ্ডে বিজেপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দিলেন নাড্ডা। ডি পুরন্দেশ্বরীকে অন্ধ্রপ্রদেশে বিজেপির সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির বিবৃতি অনুসারে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কিরণকুমার রেড্ডিকে দলের জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার টানা তৃতীয় মেয়াদেও কেন্দ্রে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়। সেকথা মাথায় রেখে এই সব রদবদল করা হয়েছে বলেই গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর।
এমনিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আশাবাদী, ২০২৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে তাঁরাই ক্ষমতায় ফিরবেন। কারণ, বিরোধীদের হাল বেহাল। কংগ্রেস কিছুটা গুছিয়ে উঠতে পারলেও ইউপিএর অন্যান্য শরিকদের অবস্থা খুবই খারাপ। কিন্তু, তাই বলে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে নারাজ নাড্ডাবাহিনী। তাঁরা চান, বিভিন্ন রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের সংগঠনকে লোকসভা নির্বাচনের আগেই চূড়ান্ত শক্তিশালী করে তুলতে।