ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, মৃতের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে কং-বিজেপি দ্বৈরথ, রায়গঞ্জে চাঞ্চল্য

সোমবার সকালে রায়গঞ্জের গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিন বিষ্ণুপুর গ্রাম থেকে উদ্ধার হয় বছর পঞ্চাশের দেবেশ বর্মনের ঝুলন্ত দেহ।

সোমবার সকালে রায়গঞ্জের গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিন বিষ্ণুপুর গ্রাম থেকে উদ্ধার হয় বছর পঞ্চাশের দেবেশ বর্মনের ঝুলন্ত দেহ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
UP Accident, Barabanki, Truck hits Bus

প্রতীকী ছবি

সোমবার সকালে রায়গঞ্জের গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিন বিষ্ণুপুর গ্রাম থেকে উদ্ধার হয় বছর পঞ্চাশের দেবেশ বর্মনের ঝুলন্ত দেহ। যা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। দেহে় তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা জড়ানো ছিল। প্রথমে সিপিএম করলেও পরে মৃত দেবেশ বর্মন গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস বুথ সভাপতি ছিলেন। অবশ্য বিজেপির দাবি, মৃত ব্যক্তি তাদের দলের কর্মী। ফলে দেবেশবাবুর রাজনৈতিক পরিচায় নিয়ে কংগ্রেস-বিজেপি দড়া টানাটানি শুরু হয়েছে।

Advertisment

মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবেশ বর্মন সোমবার বিকেলে চা পানের কথা বলে বাড়ি থেকে সাইকেল চড়ে বেড়িছিলেন। রাতে ফেরেননি। অবশেষে মঙ্গলবার সকালে তাঁর দেহ বাড়ির কাছে একটি মাঠ থেকে উদ্ধার হয়। আম গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল দেহ। গায়ে জড়ানো ছিল তৃণমূলের পতাকা। খুন নাকি আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তদন্তে আনা হয়েছিল পুলিশ কুকুর।

স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, দলকে হেয় করতেই জোড়া-ফুল দেওয়া পতাকা মৃতদেহের গায়ে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মৃত দেবেশ বর্মনের পুত্র বিদ্রোহী বর্মন বলেন, 'আমার বাবা বিরোধী দল কংগ্রেস করত। তাই তাঁকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।'

Advertisment

যদিও গেরুয়া বাহিনীর দাবি মৃত ব্যক্তি তাদের দলের কর্মী। এদিন কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, 'রায়গঞ্চে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। তিনি আমাদের দলীয় কর্মী। বাংলায় গণতন্ত্র নেই। বিরোধী দল করলেই নানাভাবে অত্যাচার করছে শাসক দল ও পুলিশ। প্রতিবাদ করলেই মেরে ফেলা হচ্ছে। এই ঘটনা আরও একবার তা প্রমাণ করল।'

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

bjp CONGRESS