ত্রিপুরার নির্বাচনে বিপুল জয়লাভের পর বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং ত্রিপুরার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুনীল দেওধর বলেন, ২০২১ সালে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জিকে বিপুল ভোটে পরাজিত করবে। রবিবার এই বিজেপি নেতা আরও বলেন, মমতা ২০২১ সালে আর পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় থাকবেন না। মমতা ,কংগ্রেস এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) একজোটে বিজেপির বিরুদ্ধে পথে নামলেও, এবার মমতার বিদায় নেবার পালা। রবিবার সন্ধ্যায় মুম্বইয়ের গোরেগাঁওয়ে তিনি, ত্রিপুরা কি কাহিনি, দেওধর কি জুবানি-বিষয়ক বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। সেখানেই এই দাবি করেন তিনি। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ ঠাকুরের নেতৃত্বে দীনদয়াল সমাজসেবা কেন্দ্র এই সভার আয়োজন করেছিলেন।
পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমকে হারানোর মত যোগ্যতা মমতার ছিল। তারপরই সমস্ত সিপিআইএম ক্যাডার তৃণমূলে যোগ দেয়। কিন্তু, তাঁদের দরুন মমতা সরকার এবার সেরাজ্যের জনগণ শোষণ শুরু করছে। কিছুদিন আগে বিজেপি ত্রিপুরাতে সেরাজ্যের শাষকদল সিপিআইএমকে পরাজিত করেছে। সুতরাং সেদিক থেকে দেখতে গেলে যোগ্যতায় পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি এখন তৃণমুলের সমান।
তবে ত্রিপুরা জয়ের পরই সেরাজ্যের অধিকাংশ সিপিআইএমের কর্মী বিজেপি-তে যোগ দিয়েছে, দেওধর জানান। তিনি আরও জানান অন্যান্য দলের নেতা-কর্মীরাও এখন বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে। তার মুখ্য কারণ, বিজেপিতে তাঁরা যে ধরনের পরিবেশ পাচ্ছেন তা আগে কখনও পাননি। ফলে তাঁরা এখন আদর্শ বিজেপি কর্মী হিসেবে কাজ করতে উৎসাহ পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন - কাঠুয়া ও উন্নাওয়ের ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতায় তৃণমূল ও কংগ্রেসের মিছিল
তিনি বলেন, ত্রিপুরাকে কমিউনিস্ট মুক্ত করার কাজের দায়িত্ব তাঁর ওপর ছিল। ২০১৪ সালে বিজেপির প্রধাননেতা আমাকে বলেছিলেন যে, আমরা যখন ভারতকে কংগ্রেস থেকে মুক্ত করার কথা বলছি, তখন একইসঙ্গে দেশকে কমিউনিস্ট মুক্তও করতে হবে। তারপরই, আমি ত্রিপুরার দায়িত্বে এসেছিলাম। কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি জানান, ২০১৯ সালের জন্য প্রস্তুতি এখন থেকেই নিতে হবে। আপনি যদি কারো প্রতি অসন্তুষ্ট হন, তাহলে নির্বাচনে, ভোটে আপনার ক্ষোভ প্রকাশ করুন। তবে লোকসভা নির্বাচনে রাগ প্রকাশ করবেন না। লোকসভা নির্বাচনে আপনি একজন সংসদকে নির্বাচিত করেননা বরং তখন আপনার কাঁধে থাকে প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচনের গুরুদায়িত্বও। তবে সোশ্যাল মিডিয়াতে নেতিবাচক বার্তা ছড়ানো থেকে পার্টি কর্মীদের বিরত থাকার অনুরোধ করেন তিনি।
আরও পড়ুন - EXCLUSIVE: ফের চিকিৎসায় গাফিলতি! অকালমৃত্যু খুশির, আসানসোলে টানা ধরনায় বাবা-মা