বাংলা দখল করে ‘সোনার বাংলা’ গড়তে ইতিমধ্যে তোরজোড় শুরু বঙ্গ বিজেপির। বিধানসভা ভোটের আগে সাংগঠনিক ভাবে দলকে আরও চাঙ্গা করতে ৫টি জেলায় ভাগ করা হয়েছে বাংলাকে। নেওয়া হয়েছে ‘আর নয় অন্যায়’, আমার বুথ সবচেয়ে মজবুত কর্মসূচি। রাজ্যের ৫ জায়গা থেকে বেরিয়েছে রথও। বিজেপি যার পোশাকি নাম দিয়েছে পরিবর্তন যাত্রা। এবার ভোটারদের সঙ্গে তৃণমূলস্তরে যোগাযোগ গড়ে তুলতে নতুন কৌশল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। রাজ্যের ১১০টি বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্বে এবার বসানো হচ্ছে ২২ জন সাংগঠনিক নেতাকে।
তাঁরা বিধানসভা ঘুরে ঘুরে ভোটারদের মন বোঝার চেষ্টা করবেন। বিজেপির আদর্শ পৌঁছে দেওয়া হবে তাঁদের কাছে। ইতিমধ্যে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার অনেক আগে থেকেই বঙ্গ সফরে আসছেন শাহ-নাড্ডারা। অধুনা তৃণমূল কিন্তু এখন বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতারা তাঁদের এলাকায় প্রচার অভিযান শুরু করেছেন। রাজ্যব্যাপী গড়িয়েছে রথের চাকা। সুত্রের খবর, বাংলায় সরকার গড়তে বিজেপির পথের কাঁটা ১১০টি আসন। তৃণমূল স্তরে কাজ করা বিজেপি কর্মীদের একটি সুত্রের দাবি, ‘লোকসভা ভোটের নিরিখে বিজেপি ১২০-১২৫টি আসনে এগিয়ে ছিল। কিন্তু সেটা দু’বছর আগের কথা। মধ্যের সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর দুয়ারে সরকার, পাড়ায় পাড়ায় সমাধান, স্বাস্থ্যসাথী এবং ৫ টাকার ‘মা’ প্রকল্প অর্থাৎ ডিম-ভাত পরিবেশনের ঘোষণা বিজেপির সেই পালের হাওয়া কেড়েছে।'
একাধিক জনসভা থেকে মমতা বলতে শুরু করেছেন, কেউ প্রার্থী নয়, ২৯৪টি কেন্দ্রে আমিই প্রার্থী। ভোট আমাকেই দেবেন। এটাও অনেকটা অ্যাডভান্টেজ তৃণমূল। তাই এবার ব্যাকফুট থেকে ফ্রন্টে আসতে গলার কাঁটার মতো বিঁধে থাকা ১১০টি আসন দখলে মরিয়া গেরুয়া শিবির। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সেই মোতাবেক বার্তা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়েছেন সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। র দিন কয়েকের মধ্যেই কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলা মিলিয়ে ছড়িয়ে থাকা এই ১১০টি আসনের জন্য পথে নামছেন ওই ১১ জন বিজেপি নেতা। এমনটাই সুত্রের খবর।