সাম্প্রতিক অতীতে এ রাজ্যে কৃষক আন্দোলনের ধাত্রীভূমি সিঙ্গুর। বাম শাসনের পতন ঘটিয়ে রাজ্যপাটে পালা বদলের সোপান রচনা হয়েছিল হুগলির এই অংশ থেকেই। এবার মমতা সরকারের বিরুদ্ধে কৃষকদের প্রতি অমানবিকতার অভিযোগ তুলে সেই সিঙ্গুরেই টানা তিন দিন ধর্নায় বসছে বিজেপি। শনিবার রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষ এই ঘোষণা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
চলতি মাসের ১৪, ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর সিঙ্গুরে ধর্নায় বসছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার হলেও গেরুয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে কৃষক বিরোধী তকমা সেঁটে দিতে মরিয়া তৃণমূল সহ বিরোধীরা। এই কর্মসূচি থেকে পাল্টা জোড়া-ফুল সরকারকে কৃষকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে উদাসীনতার অভিযোগ তুলতে চাইছে পদ্ম ব্রিগেড, অন্যদিকে রাজ্যের কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিতে আগ্রহী গেরুয়া শিবির।
এ দিন সাতদফা দাবিতে কিষাণ মোর্চার নেতাদের নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, 'সম্প্রতি বৃষ্টির কারণে আলু,আমন ধান, শীত কালীন সবজি তোলা যায় নি। অনেকটাই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। চরম অসুবিধায় পড়েছেন কৃষকেরা। কিন্তু, খেলা-মেলাতে বিপুল খরচ করা সরকার, মোয়াজ্জেমদের বাতা দেওয়া সরকার কৃষকদের এই দুর্দিনে উদাসীন। এমনকী কৃষকদের অবস্থা খতিয়ে দেখতে কোনও বিডিও-কেও পাঠানো হয়নি। অসহায় কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর বদলে শাসক দল তাদের শাখা-প্রশাখা বিস্তার করতে ব্যস্ত। কৃষকদের সহায়তার জন্য রাজ্যপাল যাতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেন তার জন্য অনুরোধ করেছি।' একপরই কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে সিঙ্গুরে টানা তিন দিন ঝধর্না কর্মসূচির ঘোষণা করেন। তিনি নিজেও এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন।
বিজেপির এি ধর্না কর্মসূচিকে 'নাটক' বলে তোপ দেগেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেছেন, 'জনবিরোধী কৃষক নীতির প্রবক্তাই হল বিজেপি। তাই এ রাজ্যের মানুষ তাঁদের এই আন্দোলন সমর্থন করবে না। গোটা দেশ জানে জনবিরোধী, কৃষক বিরোধী বিল কোন সরকার এনেছিল। পরে আন্দোলনের চাপে সেটা বাতিল করেছে।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন