কথায় বলে নিজের বেলায় আটিসুঁটি, পরের বেলায় দাঁতকপাটি। কর্ণাটকে কংগ্রেস সরকার বহুদিন পরে ক্ষমতায়। মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা চালাচ্ছে এআইসিসির নেতৃত্ব। শনিবার ফল বেরিয়েছে। তার পর মাত্র তিন দিন পেরিয়েছে। কিন্তু, তাতেই যেন গায়ে ফোসকা পড়েছে বিজেপির। গেরুয়া শিবিরের নেতারা সুযোগ বুঝে তিন দিন বিলম্বের জন্য কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছেন। ভোটের ফলে রীতিমতো উজ্জ্বীবিত কংগ্রেস জবাব দিতে অবশ্য বিলম্ব করেনি।
আপনি আচরি ধর্ম- বার্তা দিয়ে বিজেপিকে মনে করিয়ে দিয়েছে অসম আর উত্তরপ্রদেশের কথা। বুধবার কংগ্রেসের তরফে দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ টুইট করেছেন, '২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরিয়েছিল ১১ মার্চ। যোগী ৮ দিন বাদে ১৯ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী নিযুক্ত হন। ২০২১ অসম বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরোয় ৩ মে। হিমন্ত বিশ্বশর্মা তার ৭ দিন পরে ১০ মে মুখ্যমন্ত্রী হন। এরকম আরও অনেক উদাহরণ আছে।'
শনিবার কর্ণাটক নির্বাচনের ফল ঘোষণা হলেও কংগ্রেস তার মুখ্যমন্ত্রী বাছাই চূড়ান্ত করেনি কারণ, একাধিক দাবিদার। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া তো ছিলেনই। কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমারও দলের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি চেয়ে বসে আছেন। সিদ্দারামাইয়া দাবিদার হিসেবে এগিয়ে। কিন্তু, শিবকুমারও নাকি সমানতালে টক্কর দিয়ে যাচ্ছেন। গোটা ব্যাপারটা ভালো চোখে দেখছে না কংগ্রেস হাইকমান্ডও।
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে দ্বিধায় কংগ্রেস নেতৃত্ব, আজ দ্বিতীয় দফার বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত?
দলের তরফে এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক তথা কর্ণাটকের দায়িত্বপ্রাপ্ত রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা নয়াদিল্লিতে বলেছেন, 'আজ বা কাল, আমরা যখনই সিদ্ধান্ত নেব, তা ঘোষণা করব। এটা আজ বা আগামীকালের মধ্যেই ঠিক হবে যে কে আমাদের সিএলপি (কংগ্রেস পরিষদীয় দল)-র নতুন নেতা হবেন। কর্ণাটকে খারাপ ফলাফলে বিজেপি হতাশ হয়ে গুঞ্জন করছে এবং গুজব ছড়াচ্ছে। ওদের গুঞ্জন ও গুজব শোনা বন্ধ করুন। কংগ্রেস প্রত্যেক কান্নাডিগার কল্যাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কংগ্রেস যে পাঁচটি গ্যারান্টি দিয়েছে, সেগুলো পূরণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কংগ্রেস তার এজেন্ডা বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কংগ্রেস একটি পরিষ্কার, স্বচ্ছ এবং দায়িত্বশীল সরকার গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'