এবার জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলত্যাগ ইস্যুতে তাঁকে কটাক্ষ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। সদ্য দল ছেড়েছেন অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘মানুষ যে দলে, সুযোগ পেলে আমিও সেই দলেই’, বিজেপি ছেড়েই বড়সড় ইঙ্গিত দিয়েছেন একদা গেরুয়া দলের এই তারকা নেতা। তবে জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলত্যাগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, 'কে দল ছাড়ল তাতে বিজেপির কিছু যায় আসে না।'
একটা বিধানসভা ভোটের ফল সব হিসেব যেন উল্টে দিয়েছে। একুশের ভোটে জোড়াফুলের বিপুল সাফল্য নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরেই ঘর ভাঙছে বিজেপির। একে একে ছোট-বড় অনেক নেতাই দল ছেড়েছেন। একটা সময় তৃণমূল ছেড়ে যে নেতা-কর্মীরা বিজেপিতে এসেছিলেন, তাঁদের একটি বড় অংশ ইতিমধ্যেই জোড়াফুলে ফিরে গিয়েছেন। শনিবার দলের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে বিজেপি ছেড়েছেন অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
একের পর এক নেতা বিজেপি ছাড়লেও তাতে এতটুকু দমতে নারাজ গেরুয়া ব্রিগেড। জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলত্যাগেও বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না বলেই মনে করেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর সাফ কথা, 'জয় বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ছিলেন না, তখনও বিজেপি ছিল। তাই তিনি বিজেপি ছাড়ায় দলের কিছু যাবে আসবে না। দল আগে যা ছিল তাই থাকবে।'
আরও পড়ুন- ‘দল ছাড়তে পারলে সব গুপ্তকথাই ফাঁস করতে পারতাম’, নাম না করে দিলীপকে খোঁচা তথাগতর
উল্লেখ্য, শনিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে দলের প্রতি অভিমানের কথা জানিয়ে গেরুয়া শিবির ত্যাগ করেছেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘বিজেপি মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন। দোষ, ত্রুটি সংস্কারের বদলে অন্য দলকে দোষারোপ করছে। ফলাফল আরও শোচনীয় হবে।’ তাঁর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল। অন্তত জয়ের শনিবারের মন্তব্য থেকেই এই ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। শনিবার বিজেপি ছাড়ার পর জয় বলেন, ‘সিনেমা হোক বা যাত্রা, মানুষ জড়িয়ে রয়েছে আমি সবসময়ই এমন ক্ষেত্রেই কাজ করেছি। রাজনীতিতেও এসেছিলাম মানুষের সেবা করব, দেশ-রাজ্যের উন্নতি করব বলে। কিন্তু তা হল না। এখন যে পার্টি মানুষের খুব কাছাকাছি সুযোগ পেলে সেই পার্টি জয়েন করব।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন