একদিকে, সিএএ-এনআরসি-এনপিআর বিক্ষোভে উত্তাল দেশ। অন্যদিকে, দেশের আর্থিক ভিত ক্রমশই নড়বড়ে হচ্ছে। এই জোড়া ফলায় রীতিমতো ‘হিমশিম’ মোদীবাহিনী। রাত পোহালেই বাজেট। সিএএ বিক্ষোভ সামলে নিলেও দেশের আর্থিক হাল ঘুরে দাঁড়াবে কিনা, সে নিয়েই মূলত মাথাব্যথা বিজেপির নেতাদের মধ্যে, বিজেপির অন্দরে কান পাতলে এমনটাই ঠাউর করা যাচ্ছে।
বাজেটের মুখে এক বিজেপি নেতার কথায়, ‘‘সিএএ-এনআরসি-এনপিআর বিক্ষোভের জেরে আমাদের সমর্থন থেকে একটা ভোটও কমবে না। এই বিক্ষোভে বিরোধীরাও কোনও অতিরিক্ত ভোট পাবে না। ফলে এই বিক্ষোভ নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই। আসল চিন্তা হল অর্থনীতি নিয়ে’’। এ প্রসঙ্গে এক সরকারি আধিকারিকও বললেন, ‘‘যদি বৃদ্ধির হার না বাড়ে, সেটাই হবে বড় আশঙ্কা’’।
আরও পড়ুন: আসন্ন বাজেট থেকে কী কী প্রত্যাশা আমজনতার?
দেশের অর্থনীতির হাল নিয়ে যে মোদীবাহিনী উদ্বিগ্ন, তার আঁচ পাওয়া গেল আরেক বিজেপি নেতার গলাতেও। ওই নেতা বললেন, ‘‘দাদা, দেশের অর্থনৈতিক হালই চিন্তা বাড়াচ্ছে। বাকি সব তো সামাল দেওয়া যাবে’’।
দেশের অর্থনীতিতে কালো মেঘের ছায়া কাটাতে এখন বাজেটই ভরসা মোদীবাহিনীর। তবে আশার আলো দেখাতে পারবে কি এবারের বাজেট? এ নিয়েও অনিশ্চয়তার সুর শোনা গিয়েছে। এক বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘ব্যবসায়ীমহলের সঙ্গে কথা বলে যা বুঝেছি, তাতে বিনিয়োগের ব্যাপারে তাঁরা অনিচ্ছুক। তাঁরা আশঙ্কায় রয়েছেন’’। আরেক বিজেপি নেতার কথায়, ‘‘ব্যবসায়ী মহলের আস্থা বাড়াতে হবে’’। অন্য এক বিজেপি নেতার বক্তব্য, ‘‘দেখা যাক, বাজেটে কী হয়’’।
Read the full story in English