রাজ্য়ের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল থেকেই প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেসের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি। আগামী লোকসভা নির্বাচনে এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের যে মূল লড়াইবিজেপিরই তা নিয়ে আর কোনও সন্দেহই রইল না। এবারের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের এটাই মূল নির্যাস। বাংলার এই ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যাওয়ার হিড়িক এবার আরও বাড়বে বলেই মনে করছে তথ্যভিজ্ঞ মহল।
জঙ্গলমহল এলাকায় অভাবনীয় ফল করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে বিজেপির জয়ের ফারাক বেশ কয়েক যোজন।
সাম্প্রতিক উপনির্বাচনের ধারা অব্য়াহত রইল রাজ্য়ের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও। কাঁথি, সবং বা নোয়াপাড়া বিধনসভার উপনির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিজেপি। এমনকি উলুবেড়িয়া লোকসভার উপনির্বাচনে দ্বিতীয় স্থান দখল করে বেশ ভাল পরিমাণ ভোট পেয়েছিল বিজেপি। কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট ওই নির্বাচনে গেরুয়া বাহিনীর থেকে অনেক পিছিয়ে ছিল। বিধানসভা ও লোকসভার উপনির্বাচনের মত ধারাবাহিক ভাবে লড়াইয়ের ময়দান থেকে ক্রমশ ছিটকে যাচ্ছে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। তাদের সেই জায়গায় থাবা বসিয়েছে বিজেপি। পশ্চিমের পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামে বিজেপি নজরকাড়া ফল করেছে তারা। পুরুলিয়ায় ৩৪টি ও ঝাড়গ্রামে ২৫টি পঞ্চায়েত দখল করেছে বিজেপি। দলের রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, ‘‘রাজ্য়ে আমরা দ্বিতীয় শক্তি। অনেক প্রতিকূলতা সত্বেও আমরা ভাল ফল করেছি।’’
রাজনৈতিক মহলের ব্য়াখ্য়া, এখনও পর্যন্ত পঞ্চায়েতের যে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে তাতে স্পষ্ট, আগামী দিনে রাজ্য়ে মূল লড়াই হবে তৃণমূলের সঙ্গে গেরুয়াবাহিনীর। সেই লড়াইতে থাকবেই না বাম ও কংগ্রেস। রাজনৈতিক পরিস্থিতির তেমন বদল না ঘটলে বামেরা বাংলা থেকে একজন সাংসদকেও দিল্লিতে পাঠাতে পারবে কি-না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। অন্য় দিকে কংগ্রেসের একটা বড় অংশ বিজেপিতে যাওয়ার জন্য় পা বাড়িয়ে দেবে তা নিয়েও সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই।