একজন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তৃণমূলে গিয়ে এখনও প্রথম একাদশে জায়গা পায়নি। আরেকজন দল থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত, অথচ ঘাসফুলে যোগ দিয়েই রাজ্য সহসভাপতির পদ পেলেন। শুধু তাই নয়, করিমপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে ভোটের দিন লাথি মারার ছবিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে ফের কী রাজ্য বিজেপি ভাঙনের পথে? বিজেপি সাংসদ তথা দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে মমতার মঞ্চে জয়প্রকাশ মজুমদারের হাজিরায় ফের দলবদলের সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে।
আরও পড়ুন- দলের রাশ মমতার হাতেই, I-PAC-এর জনসংযোগেই জোর তৃণমূলের
সোমবার এক ফ্রেমে দেখা গিয়েছিল বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব লকেট চট্টোপাধ্যায়, সায়ন্তন বসু, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জয়প্রকাশ মজুমদারকে। সেই বৈঠক সামনে আসতেই নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল। বিজেপির অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছিল কেন জয়প্রকাশের সঙ্গে বৈঠকে রয়েছেন দলের সাংসদ? কিন্তু পরের দিনই নজরুল মঞ্চে ঘাসফুল পতাকা হাতে নিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। একেবারে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সহসভাপতি।
আরও পড়ুন- নির্দল নিয়ে এখনও পুরনো অবস্থানেই অনড় মমতা, হুঁশিয়ারি শীর্ষ নেতাদেরআরও পড়ুন-
বিধানসভা নির্বাচনের পরই কৃষ্ণনগরের বিধায়ক মুকুল রায় তৃণমূল ভবনে গিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ঘাসফুল শিবিরে ফিরে গিয়েছেন। তারপর একে একে বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। বিগত বেশ কিছু দিন ধরে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ঢল থমকে ছিল। বিজেপির একটা অংশ তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন একথা একাধিকবার ঘোষণা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জয়প্রকাশ মজুমদার যোগ দেওয়ায় ফের আশঙ্কা শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরে। এবার তাহলে কে?
আরও পড়ুন- ‘বিধানসভাকে স্কুল মনে করুন’, বিধায়কদের কড়া বার্তা মমতার
সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে এর আগে জল্পনা শুরু হয়েছিল। দীর্ঘ দিন তিনি উত্তরাখন্ডে দলের কাজে ছিলেন। নগরনিগম বা পুরসভা নির্বাচনে নিজের সংসদীয় এলাকায় ছিলেন না লকেট চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আগের দিন এক ফ্রেমে দেখা যায় জয়প্রকাশ মজুমদারের সঙ্গে অন্যদের সঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। যদিও জয়প্রকাশের সিদ্ধান্ত একান্তই ব্যক্তিগত বলে বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছে। এদিকে গতকালের বৈঠকে থাকা বিজেপি নেতার দাবি, 'ওই আলোচনায় তৃণমূল যোগ নিয়ে কোনও কথা বলেননি জয়প্রকাশ মজুমদার। ঘটনাচক্রে সেখানে আমরা এক জায়গায় হয়েছিলাম।' রাজনৈতিক মহলের মতে, বাবুল সুপ্রিয় এখনও কোনও পদ পাননি তৃণমূলে। অথচ জয়প্রকাশ মজুমদার তৃণমূলে যোগ দিলেন একেবারে সহ-সভাপতি হিসাবে। তাহলে কী উপনির্বাচনে শিকে ছিঁড়তে পারে বাবুলের? সেই গুঞ্জনও শুরু হয়েছে।