মণীশ শুক্লা খুনে ন্যায় বিচারের দাবিতে আজ ফের পথে বিজেপি। এ দিন টিটাগড় থানা থেকে চিড়িয়া মোড় পর্যন্ত 'হাল্লাবোল' কর্মসূচি পালন করবে গেরুয়া দল। যা নিয়ে বিজেপি-নকশাল আঁতাতের অভিযোগ তুলেছেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রাজ্যে ভোট এগিয়ে আসছে। তাই তৃণমূল জমানায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতির বিষয়টি বড় করে তুলে ধরতেই বিজেপির এই মিছিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং, বীজপুরের বিধায়ক মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু রায়, সুনীল সিং, পবন সিং ছাড়াও মিছিলের ওজন বাড়াতে থাকবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায়, কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
আরও পড়ুন- মণীশ খুনে দুই তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিআইডির
প্রয়াত দলীয় যুব নেতা মণীশ শুক্লার স্মৃতির উদ্দেশ্যে গত সপ্তাহেই মোববাতি হাতে পদযাত্রা করেছে বিজেপি। ব্যারাকপুর স্টেশন থেকে টিটাগড় পর্যন্ত হয় সেই মিছিল। মোমবাতি হাতে মিছিলে হাঁটেছিলেন অর্জুন সিং, সুনীল সিংরা।
এ দিকে এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৩ অক্টোবর টিটাগড় থেকে ব্যারাকপুর পর্যন্ত মহামিছিল করে তৃণমূল। ওই মিছিল থেকেই বিজেপির 'হাল্লাবোল' কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেন উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর দাবি, নকশালদের সংস্কৃতি ধার করেছে বিজেপি। বাংলায় বিজেপি-নকশাল আঁতাঁতের অভিযোগ তোলেন জ্যোতিপ্রিয়। তিনি বলেছেন, 'হাল্লাবোল নকশালদের সংস্কৃতি। এইসব বাংলায় আমদানি করে লাভ নেই। যাদবপুরে কিছু পড়ুয়া নকশালপন্থী আছে। তাঁরা এ ধরণের আন্দোলন করে। প্রেসিডেন্সিতেও এর ছায়া দেখা গিয়েছিল। বিজেপি আসলে রাজনৈতিকভাবে ভয় পাচ্ছে। তাই নকশালদের সঙ্গে মিশে গিয়েছে। বাংলায় নকশাল-বিজেপি একযোগে কাজ করছে।' অশান্তির জন্য সাংসদ অর্জুন সিংকে দায়ী করেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
আরও পড়ুন- রাজনীতি থেকে স্বেচ্ছা অবসর? আদপে কী বললেন মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু
৪টা অক্টোবর সন্ধ্যায় টিটাগড় থানার কাছে বিজেপি পার্টি অফিসের সামনে খুন হন বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা। মোটরসাইকেল করে দুষ্কৃতীরা এসে মণীশকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয়। এর পরই রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়। একে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপায় বিজেপি ও তৃণমূল। এই হত্যার তদন্তভার সিআইডি-কে দেয় রাজ্য সরকার। তদন্তে নেমে প্রথমে মহম্মদ খুররম খান, গুলাব শেখকে গ্রেফতার করে সিআইডি। এদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতার করা হয় নাসির শেখকে। শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় আরও এক অভিযুক্ত সুবোধ যাদবকে। এখনও পর্যন্ত মণীশ খুনে গ্রেফতারির সংখ্যা চার। এই খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতা উত্তম দাস ও প্রশান্ত চৌধুরীর। বৃহস্পতিবারই তাঁরা সিআইডি দফতরে হাজিরা দেন। মণীশ খুনে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছে বিজেপি।
মণীশ খুনে বিজেপি-তৃণমূল তরজা অব্যাহত। মিছিল, পাল্টা মিছিল দেখা গিয়েছে। সেই রেশ জিইয়ে রেখেই আজ ফের পদ্ম শিবিরের 'হাল্লাবোল' কর্মসূচি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন