বিহার বিধানসভায় নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারের আস্থা ভোটের দিনই আচমকা বিহারের রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে উঠল কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলো। এমনই অভিযোগ উঠেছে। আস্থা ভোটের বিতর্কেও উঠল সেই প্রসঙ্গ। আর, সেই প্রসঙ্গের অবতারণা করে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোকে কটাক্ষ করলেন। তিনি বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপির তিন জামাই হল ইডি, সিবিআই এবং আয়কর দফতর।' একইসঙ্গে তেজস্বী জানিয়ে দেন, বিজেপির এই সব এজেন্সির কাছে আরজেডি তথা বিহারবাসী মাথানত করবে না। নতুন সরকার আর জোট দীর্ঘদিন চলবে, লম্বা ইনিংস খেলবে।
২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় এমনিতেই শাসক জোটকে জেতার জন্য খুব বেশি কষ্ট পোহাতে হবে না, তা প্রথম থেকেই স্থির ছিল। শাসক জোটের বিধায়ক সংখ্যা সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের তুলনায় যথেষ্ট বেশি ১৬৪। সেই কারণে জয় ছিল নিশ্চিত। অন্যদিকে বিরোধী বিজেপির রয়েছে ৭৭ জন বিধায়ক।
আরও পড়ুন- বিধানসভার সিঁড়িতে সরকার-বিরোধী বিধায়কদের ব্যাপক হাতাহাতি, সামলালেন বিরোধী দলনেতা
আস্থা বিতর্ক চলাকালীন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার অভিযোগ করেন যে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের প্রকল্প গুলোর কৃতিত্ব দাবি করছে। তিনি বলেন, 'হর ঘর জল' বিহার সরকারের প্রকল্প। আর, গ্রামীণ এলাকায় রাস্তা তৈরির প্রকল্পটি অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের জমানায় চালু হয়েছিল। সেসব না-জেনেই বিরোধী বা বিজেপি কটাক্ষ করছে। কেন্দ্রীয় সরকার এইসব প্রকল্পের কৃতিত্ব নেওয়ার যোগ্য নয় বলেই জানান নীতীশ।
পালটা, বিজেপি নেতা তারকিশোর প্রসাদ বলেন যে জেডি (ইউ) কখনও বিহার নিজের জোরে ভোটে জিততে পারে না। আর সেই দলের নেতা নীতীশ কুমার কেবল তাঁর ডেপুটি পরিবর্তন করেন এবং মুখ্যমন্ত্রী থাকতে চান। এর আগে মঙ্গলবারই বিহারের স্পিকার বিজয়কুমার সিনহা 'সংখ্যাগরিষ্ঠতার কাছে নতিস্বীকার করে' পদত্যাগ করেন। তিনি বলেন, 'স্পিকারের চেয়ার পঞ্চ পরমেশ্বরের মত। সেই চেয়ারের বিরুদ্ধে সন্দেহ জাগিয়ে নীতীশ কুমার কী বার্তা দিতে চান, জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে।' একইসঙ্গে বিজয়কুমার সিনহা জানিয়েছেন যে ২৬ আগস্ট, শুক্রবার বিহার বিধানসভায় স্পিকার নির্বাচন হবে। স্পিকার নির্বাচিত না-হওয়া পর্যন্ত ডেপুটি স্পিকার মহেশ্বর হাজারিই বিধানসভার কার্যকলাপ অস্থায়ীভাবে পরিচালনা করবেন।
Read full story in English