সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই 'অ্যাকশন মোডে' বিজেপি। টার্গেট ৪০০ আসন। ইতিমধ্যেই বিজেপি রাজ্যে রাজ্যে পর্যবেক্ষক নিয়োগের কাজ শুরু করে দিল। দলের নেতাদের হাতে ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। ২৭ জানুয়ারি বিহার, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ সহ ২৩ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্য পর্যবেক্ষক এবং সহ-পর্যবেক্ষকদের নাম প্রকাশ করেছে গেরুয়া শিবির।
উত্তর প্রদেশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বৈজয়ন্ত পাণ্ডাকে। লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসাবে গোটা দেশেই সংগঠন গোছাচ্ছে বিজেপি। বিহারের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পান্ডেকে বাংলার দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শক্ত ঘাঁটিতে ঘাসফুলের বদলে পদ্ম ফোটানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁর ওপর। তাকে সাহায্য করার জন্য, বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এবং আশা লাকড়াকে সহ-পর্যবেক্ষক হিসাবে নিযুক্ত করেছে দল। মহেন্দ্র সিংকে মধ্যপ্রদেশের লোকসভা নির্বাচনের ইনচার্জ এবং সতীশ উপাধ্যায়কে সহ-পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করেছে দল।
উত্তরাখণ্ডের দায়িত্ব নেবেন দুষ্যন্ত কুমার গৌতম। কেরলে দায়িত্ব সামলাবেন প্রকাশ জাভেদকর। অন্যদিকে কর্ণাটকে রাধা মোহন দাস আগরওয়ালকে পর্যবেক্ষক এবং সুধাকর রেড্ডিকে সহ-পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করা হয়েছে। বিহারের দায়িত্ব পেয়েছেন বিনোদ তাওড়ে
বিহারে ফের নীতীশ কুমার এনডিএ-এর জোট বাঁধছে এমন জল্পনার মাঝে বিনোদ তাওড়েকে লোকসভা নির্বাচনের জন্য পর্যবেক্ষক হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দীপক প্রকাশকে সহ-পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করেছে দল। একইভাবে, হরিয়ানার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিপ্লব কুমার দেবকে এবং সুরেন্দ্র নগরকে সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাংসদ লক্ষ্মীকান্ত বাজপেয়ীকে ঝাড়খণ্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাঞ্জাবে বিজয় রূপানি ও ডক্টর নরিন্দর সিংকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। হিমাচল প্রদেশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শ্রীকান্ত শর্মা ও সঞ্জয় ট্যান্ডনকে।