বিধানসভায় রাজ্যপালের জবাবি ভাষণের সময় নজিরবিহীনভাবে বিজেপি-কে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিরোধী দলকে ‘ল্যাজ ছাড়া হনু’ বলে দেগে দিয়েছেন তিনি। প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর সময়কালে সঙ্গে এখনকার বিজেপি নেতৃত্বের ফারক তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। বর্তমানে বিজেপি নেতৃত্ব মুখ দেখাতে বেশি ব্যস্ত বলে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি।
কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?
রাজ্যপালের জবাবি ভাষণের প্রেক্ষিতেই এদিন শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'এই বিজেপি ল্যাজ ছাড়া হনু। বিজেপির সঙ্গে এর আগেও কাজ করেছি। অটলবিহারী বাজপেয়ী, সুষমা স্বরাজ, রাজনাথ সিংদেরও দেখেছি। কিন্তু এখনকার বিজেপি খায় না মাথায় দেয় কেউ জানে না।'
গত শুক্রবার বিধানসভা অধিবেশনের সূচনায় নজিরবিহীনভাবে মাত্র চার মিনিটেই নিজের বক্তব্য শেষ করে কক্ষ ত্যাগ করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বিজেপির হইহট্টগোলেই রাজ্যপাল ভাষণ না পড়েই বেরিয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছিল শাসক দল। বিজেপির দাবি ছিল, রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের লিখে দেওয়া ভাষণ পড়ছিলেন, এবং তার সঙ্গে বিরোধী দল সহমত নয়, তাই স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল। এদিন অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় সেই প্রসঙ্গ টানেন মুখ্যমন্ত্রী । বলেন, 'রাজ্যপাল কেন্দ্রীয় সরকার মনোনীত। অথচ তাঁকেই বলতে দেওয়া হল না।'
আরও পড়ুন- ‘স্পিকার দলদাস’, ‘বিচারাধীন’ নন্দীগ্রাম ইস্যুতে তোপ শুভেন্দুর
রাজ্যে ভোটপরবর্তী হিংসা নিয়ে উত্তাল রাজ্য। সরব বিজেপি। আদালতেও ভর্ৎসনা করা হয়েছে রাজ্যকে। এদিও বিধানসভায় সামবাদিক বৈঠকে বাংলায় ভোটের পরে হিংসার পরিবেশ নিয়ে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তোলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিজের বক্তব্যে রাজ্য়ে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে অবশ্য বিজেপিকেই পাল্টা দুষেছেন মমতকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, 'তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা এবং কুৎসার ঝড় তোলা হচ্ছে। এখন নিজেদের মুখ দেখাতে সংবাদমাধ্যমের কাছে গিয়েছে।'
ভোটের আগে জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের বদলি নিয়ে এর আগে নির্বাচনী প্রচার ও তার পর একাধিবার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সেই একই অভিযোগ করলেন বিধানসভার অধিবেশনে। তাঁর কথায়, 'যে সব জেলায় অভিযোগ ছিল সেখানে এসপি, জেলাশাসকদের সরানো হয়েছে। তিন মাস ধরে আইএএস, আইপিএসদের চমকানো হয়েছে।'
এদিনও 'বহিরাগত' বলে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বাংলার মানুষ বহিরাগতদের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন