BJP: বিজেপি পরিবারকেন্দ্রিক দল নয়। বরং মানুষের দল, জনকল্যাণ বিজেপির মূল মন্ত্র। আর এতেই বিজেপির বাড়বাড়ন্ত। জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে এভাবেই উপস্থিত নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী। ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সম্ভবত এটাই কেন্দ্রের প্রধান শাসক দলের শেষ কর্মসমিতির বৈঠক। এই বৈঠকের উদ্বোধনে বক্তব্য রাখেন দলের জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বৈঠক শেষে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তিনি দাবি করেছেন, ‘প্রতিশ্রুতি পূরণ, মানুষের হয় কাজ করায় বিশ্বাসী ভারতীয় জনতা পার্টি। এটাই দলকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। সবসময় মানুষের সঙ্গ পেয়েছে। কোনও পরিবারকে কেন্দ্র করে এই দল এগোয়নি। সেবা, সংকল্প , সমর্পণ--এই তিন মন্ত্রে কাজ করে বিজেপি।‘
মোদির ভাষণ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দলের নেতা ও কর্মীদের একাধিক পরামর্শ দিয়েছেন। দল এবং মানুষের সেতুবন্ধন হিসেবে আমাদের কাজ করতে বলেছেন। এর আগেও মানুষের প্রয়োজনে কাজ করার ইতিহাস বিজেপির আছে।‘
এদিকে, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক আয়োজিত হয়েছে দিল্লিতে। এই বৈঠকের উদ্বোধনী বক্তৃতায় অংশ নিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। পূর্বসূরি অমিত শাহের সুরেই তিনি সুর মিলিয়েছেন। এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে নাড্ডা বলেন, ‘যতক্ষণ না পর্যন্ত অবিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি, ততক্ষণ দলের বৃদ্ধি সম্পূর্ণ নয়।‘ তিনি বলেন, ‘কেরালা, অন্ধ্র প্রদেশ, তামিলনাড়ু, ওড়িশা এবং তেলেঙ্গানায় বিজেপিকে ক্ষমতা দখল করতে হবে।‘
এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সাম্প্রতিক বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনেছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘তেলেঙ্গানায় উপনির্বাচনে শাসক টিআরএস-কে পরাজিত করেছে বিজেপি। এর থেকেই প্রমাণিত সেই রাজ্যে বিকল্প শক্তি হিসেবে উঠে আসছে দল।‘ এই বৈঠকেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গ। রাজ্যে থেকে এই বৈঠকে যোগ দেওয়া বিজেপির প্রতিনিধিরা ভোট পরবর্তী হিংসার প্রসঙ্গ তোলেন। ভোট পরবর্তী হিংসায় বাংলায় ৫০ জনের বেশি কর্মী-সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে। আতঙ্কে লক্ষাধিক মানুষ ঘরছাড়া। এভাবেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে নালিশ জানিয়েছে বঙ্গ বিজেপির প্রতিনিধিরা।
দলের জাতীয় সভাপতির ভাষণে সেই হিংসার প্রসঙ্গ উল্লেখ রয়েছে। এদিন জানান ধর্মেন্দ্র প্রধান। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ সারা দেশের বিজেপি নেতৃবৃন্দ পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পাশে দাঁড়াবে। নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়াবে। গণতান্ত্রিক ভাবে আইনি পথে অন্যায়ের মোকাবিলা করা হবে।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন