'মর্যাদাহানিকর' সংবাদ শিরোনামের জন্য কলকাতা থেকে প্রকাশিত বাংলা দৈনিককে ক্ষমা চাইতে 'অনুরোধ' করে আইনজীবীর চিঠি পাঠাল বিজেপি। চিঠি প্রাপ্তির দু'দিনের মধ্যে ওই সংবাদপত্র ছাপার অক্ষরে ক্ষমা না চাইলে মানহানির মামলা করা হবে বলেও জানিয়েছেন বিজেপির আইনজীবী। মূলত, ওই শিরোনামের একটি শব্দ এবং তাতে যে রং ব্যবহার হয়েছে তা নিয়েই আপত্তি পদ্ম শিবিরের।
বাংলায় তিন কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পরদিন ২৯ নভেম্বর (শুক্রবার) কলকাতা থেকে প্রকাশিত ওই বাংলা দৈনিকের শিরোনাম নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল বিভিন্ন মহলে। এমনকী সোশাল মিডিয়ায় দিনভর ওই শিরোনাম নিয়ে তুমুল চর্চাও চলেছে। এবার ওই শিরোনামের জন্য দৈনিক পত্রিকা কর্তৃপক্ষকে আইনজীবীর চিঠি ধরিয়েছে রাজ্য বিজেপি। রাজ্য বিজেপির মিডিয়া ইন-চার্জ সপ্তর্ষি চৌধুরী জানান, "পত্রিকাটিকে মানহানির নোটিস দেওয়া হয়েছে। এই নোটিস পাওয়ার পর যদি দু'দিনের মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চায়, তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। ক্ষতিপূরণ দাবি করবে বিজেপি।"
আরও পড়ুন: তৃণমূল রিগিং করেছে, আমাদের এজেন্টরা ভয়ে কথা বলেননি, আসল লড়াই একুশে: দিলীপ ঘোষ
খড়্গপুর, কালিয়াগঞ্জ ও করিমপুর বিধানসভার উপনির্বাচন হয় ২৫ নভেম্বর। ২৮ নভেম্বর ওই তিন কেন্দ্রের ফলপ্রকাশ হয়েছে। খড়্গপুর কেন্দ্রে ২০১৬ সালে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জয়ী হয়েছিলেন। সাংসদ হওয়ার পর আসনটি বিধায়ক শূন্য হয়ে যায়। উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী এবার ২০হাজারেরও বেশি ভোটে জয় লাভ করে। এদিকে, কালিয়াগঞ্জ কেন্দ্রটি ২০১৬-তে কংগ্রেস জয় পেলেও ২০১৯ লোকসভার নির্বাচনে বিজেপি ওই বিধানসভা থেকে প্রায় ৫৭ হাজার ব্যবধানে এগিয়ে যায়। রাজ্য বিজেপি আশঙ্কা করেনি এই দুই কেন্দ্রে পরাজিত হবে। কিন্তু, কালিয়াগঞ্জেও জয়লাভ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। অন্যদিকে, তৃণমূলের জেতা আসন করিমপুরেও ব্যবধান বাড়িয়ে দখল কায়েম রাখে জোড়াফুল শিবির। এরপরই রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় জয়োল্লাস শুরু করে তৃণমূল। পক্ষান্তরে, লোকসভায় ১৮টি আসনে জয়ী বিজেপি এই হারে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে যায়।
এরপরই এই তিন কেন্দ্রের ফল প্রকাশের পরদিন কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিকটির প্রথম পাতার শিরোনাম নিয়ে তোলপাড় হয়ে যায় বঙ্গ রাজনীতি। বিজেপির মিডিয়া ইন-চার্জ সপ্তর্ষি চৌধুরীর পক্ষে আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি এই নোটিসটি পাঠিয়েছেন। নোটিসে স্পষ্ট লেখা, "আপত্তিজনক শব্দটিতে গেরুয়া রঙের ব্যবহারে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব দেখানো হয়েছে যা দলের সদস্যদের ভাবাবেগে আঘাত দিয়েছে এবং সম্মানহানি করেছে। এই নোটিস পাওয়ার পর দু'দিনের মধ্য়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। নতুবা আইনানুগ ব্য়বস্থা গ্রহণ করা হবে।"