রবিবার বিহারের রাজভবনে এনডিএ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন নীতীশ কুমার। আরজেডির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে নীতীশ ফের সরকার গড়লেন বিজেপির সঙ্গে। এই নিয়ে তিনি নবমবারের মত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হলেন। বিজেপির পক্ষ থেকে শপথ গ্রহণ করলেন দুই উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী ও বিজয়কুমার সিনহা। এছাড়াও বিজেন্দ্রপ্রসাদ যাদব, সন্তোষকুমার সুমন, শ্রাবণ কুমার-সহ আরও ছয় মন্ত্রীও রবিবার শপথ গ্রহণ করেছেন।
তার আগে রবিবার সকালেই নীতীশ কুমার বিহারের মহাগঠবন্ধন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পদত্যাগপত্র জমা দেন বিহারের রাজ্যপাল রাজেন্দ্র আরলেকারের কাছে। বিহারের রাজ্যপাল এনডিএ সরকার গঠনের দাবি মেনে নেন। এরপরই রবিবার বিকেল ৫টায় নতুন বিহার সরকার শপথগ্রহণ করে। বিকেলে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক বিনোদ তাওড়ে।
নীতীশ পদত্যাগ করার কিছুক্ষণ পরেই, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জেডি (ইউ) প্রধানকে অভিনন্দন জানাতে ফোন করেছিলেন। রাজভবনের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় নীতীশ জানান, মহাগঠবন্ধন কোনও কাজ করতে না-পারায় তিনি বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোট ছাড়লেন। নীতীশ আরও জানান, নতুন জোট গঠন করা হবে। নীতীশের এই জোটত্যাগ ইতিমধ্যেই ‘ইন্ডিয়া’ জোটে একটি অস্থিরতা তৈরি করেছে। ‘ইন্ডিয়া’ জোটে থাকা বেশ কয়েকটি বিরোধী দল নীতীশের সমালোচনা করেছে।
নীতীশ কুমার ‘ইন্ডিয়া’ জোট ছেড়ে এনডিএ-এর সঙ্গে হাত মেলাতেই বিরাট ভবিষ্যৎবাণী প্রশান্ত কিশোরের। বিহারে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জেডি(ইউ) এবং ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মধ্যে নবগঠিত জোট ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভেঙে পড়বে। অর্থাৎ ফের ডিগবাজি খেতে চলেছেন নীতীশ কুমার। রবিবার রাজনৈতিক কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোর এভাবেই জেডি(ইউ) এবং ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মধ্যে নবগঠিত জোটকে কটাক্ষ করেছেন।
প্রশান্ত কিশোর এদিন বলেন, "আমি একটি ভবিষ্যদ্বাণী করছি নবগঠিত যে জোট গঠন করা হয়েছে তা বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত টিকবে না। লোকসভা নির্বাচনের কয়েক মাসের মধ্যে জোট আলাদা হয়ে যাবে"।