কথা দিয়ে কথা রাখলেন অমিত শাহ। উনিশের লড়াইয়ে বিহারে সমসংখ্যক আসনেই শরিকি দল জেডিইউয়ের সঙ্গে ভোটের ময়দানে নামছে বিজেপি। এমন কথাই বেশ কয়েকদিন আগে জানিয়েছিলেন বিজেপি সভপতি। রবিবার সেকথাই ঘোষণা করলেন মোদী সেনাপতি। লোকসভা ভোটে বিজেপি ও জেডিইউ ১৭টি করে আসনে লড়বে। উনিশের নির্বাচনে আসন বণ্টন নিয়ে সে রাজ্যে এনডিএ শিবিরে মতানৈক্য ছিল বলে জোর জল্পনা চলছিল। এদিন অমিত শাহের ঘোষণায় সেসব জল্পনায় অবশ্য দাঁড়ি পড়ল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
লোকসভা ভোটে বিহারে ১৭টি করে আসনে লড়বে বিজেপি ও নীতীশ কুমারের জেডিইউ। সেই সঙ্গে ৬টি আসনে প্রার্থী দিতে পারবে লোক জনশক্তি পার্টি। অন্যদিকে, হাজিপুর লোকসভা কেন্দ্রে এবার লড়বেন না এলজেপি প্রধান রামবিলাস পাসোয়ান। রাজ্যসভায় এনডিএ-র প্রার্থী করা হবে রামবিলাস পাসোয়ানকে। এদিন অমিত শাহ বলেন, ‘‘দীর্ঘ আলোচনার পর আমরা ঠিক করেছি, বিজেপি ও জেডিইউ ১৭টি করে আসনে লড়বে। এলজেপি ৬টি আসনে প্রার্থী দেবে। রাজ্যসভায় এনডিএ প্রার্থী করা হবে রামবিলাস পাসোয়ানকে।’’
আরও পড়ুন, উনিশের ভোটযুদ্ধে বিহারে এনডিএ-র ঘরে কি দ্বন্দ্ব?
বিজেপি সভাপতি আরও বলেছেন, ‘‘২০১৪ সালের থেকে ২০১৯ সালে বেশি সংখ্যক আসন নিয়ে এনডিএ জয়ী হবে, এটা তিন দলই বিশ্বাস করে। কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী মোদী সরকার গড়বেন, একথা সকলেই মানেন।’’ লোকসভা ভোটের প্রচার কর্মসূচি চূড়ান্ত করতে আলোচনা করা হবে বলে এদিন জানিয়েছেন অমিত শাহ।
আসন বণ্টন নিয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেন, ‘‘আমরা একসঙ্গে ভোটে লড়ছি। কোন দল কোন কেন্দ্র থেকে লড়বে, তা শীঘ্রই ঠিক করা হবে।’’ রামবিলাস পাসোয়ান বলেছেন, তিন দলের মধ্যে কোনও মতবিরোধ নেই। সকলে মিলে আলোচনা করে আসন ভাগাভাগি করা হয়েছে। ৪০টি আসনেই জয়ের জন্য তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়বেন বলে জানান এলজেপি নেতা।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভোটে লড়েছিলেন নীতীশরা। সেসময় বিহারে ৩২টি আসন জিতেছিল এনডিএ। এবার সেই সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলেই আশাবাদী জেডিইউ নেতা।
Read the full story in English