পাঞ্জাব-হরিয়ানায় কৃষক আন্দোলনের ঝাঁঝ চরমে। এর মধ্যেই মৃত কৃষকদের প্রতি হরিয়ানার কৃষিমন্ত্রী জেপি দালালের 'অসংবেদনশীল' মন্তব্য আগুনে ঘি ঢেলেছে। ছড়িয়ে পড়েছে বিজেপি শাসিত রাজ্যের মন্ত্রীর বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপিং। যা ঘিরে প্রতিবাদে মুখর কৃষকরা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চলছে দালালের কুশপুতুল দাহ। কৃষকদের এই ক্রোধ বজায় থাকলে যে হরিয়ানার আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি-জেজেপি জোটের ভরাডুবি হতে পারে বলে আশঙ্কা শাসক শিবিরের।
শনিবার হরিয়ানার ভিওয়ানিতে দলীয় সমর্থকদের নিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন হরিয়ানার কৃষিমন্ত্রী জেপি দালাল। আন্দোলন চলাকালীন মারা যাওয়া কৃষকদের নিয়ে সেখানে তাঁর অনুভূতি জানতে চান এক সাংবাদিক। জবাবে তিনি বলেন, 'বাড়িতেও মরতেই হত এঁদের। এখানে কি লোক মারা যাচ্ছে না? ২ লক্ষ লোকের মধ্যে ৬ মাসে ২০০ জনের মৃত্যু কি অস্বাভাবিক?' মন্ত্রী দাললালের এই বক্তব্যেই ভাইরাল হয়।
এরপরই দালালের মন্তব্যের বিরুদ্ধে রাগে ফেটে পড়েন বিক্ষোভকারী কৃষকরা। জাতীয় সড়কে টোল প্লাজায় ধর্নায় অবস্থানকারী কৃষকরা জেপি দালালের কুশপুতুল দাহ করেন। কৃষকদের অসন্তোষের কথা জানান অল ইন্ডিয়া কিষাণসভা (হরিয়ানা)র সম্পাদক দয়ানন্দ পুনিয়া। তিনি বলেন, 'আন্দোলকারী কৃষকদের মৃত্যু নিয়ে মন্ত্রী মশকরা করছেন। আন্দোলনকে বিকৃতভাবে তুলে ধরছেন। যা মেনে নেওয়া যায় না।' চাষীদের বিক্ষোভ নিয়ে বিজেপি মন্ত্রীর অবস্থান আরও স্পষ্ট করতে দাদালের বক্তব্য বেশি করে তুলে ধরার দাবি জানাচ্ছেন ক্ষুব্ধ কৃষকরা।
প্রতিবাদের ঢেউ ক্রমশ বাড়ছে বুঝেই অবশ্য রবিবার হরিয়ানার কৃষিমন্ত্রী জেপি দালাল সাফাই হিসাবে জানান, তাঁর বক্তব্যের 'ভুল ব্যাখ্যা' হয়েছে। কেউ তাঁর শনিবারের বক্তব্যে আহত হলে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। কৃষখ স্বার্থেই কাজ করতে চান বলে দাবি করেন দালাল। বলেন, 'মান্ডি ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়াও বিকল্প ব্যবস্থার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কৃষকরা যেকোনও একটি বেছে নিতে পারেন। কৃষকদের বিক্ষোভের কোনও যুক্তি নেই। নয়া কৃষি আইন লাগু হলে মান্ডি ব্যবস্থার ও ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বিলুপ্তির যে ভয় ছোট কৃষকরা পাচ্ছেন তা অমূলক।'
কিন্তু দালালের সাফাইতে কী চিঁড়ে ভিজবে? কৃষকদের ক্ষোভ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় হরিয়ানায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে চিন্তায় গেরুয়া জোট।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন