ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামল বিজেপি। করোনা আবহে পুলিশি অনুমতি ছিল না। তাসত্ত্বেও কলকাতায় প্রতিবাদে মুখর হল গেরুয়া শিবির। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুসারে মিছিল ওয়েলিংটন থেকে থেকে নির্মল চন্দ্র স্ট্রিট, এসএন ব্য়ানার্জী রোড হয়ে কলকাতা পুরসভার দিকে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশকে ধন্দে ফেলতে পরে মিছিলের রুট বদল করে বিজেপি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, দলের রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু, রাহুল সিনহাদের নেতৃত্বে মুরলিধর সেন লেন থেকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ দিয়ে মিছিল ধর্মতলার অভিমুখে যায়।
Advertisment
এরপর চাঁদনি মেট্রো স্টেশনের পাশ দিয়ে বিজেপির মিছিল কলকাতা পুরনিগমের দিকে য়াওয়ার চেষ্টা করে। সেকানেই ব্যারিকেড দিয়ে মিছিল আটকায় পুলিশ। জোর করে গেরুয়া কর্মীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে বচসা, ধস্তাধস্তি শুরু হয়। রাস্তায় বলে পড়েন বিজেপির নেতা, কর্মীরা। আটক করা হয় দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন বসু, অগ্নিমিত্রা পালদের। পুলিশের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ মিছিল জোর করে আটকানোর অভিযোগ তোলে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব।
রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতীকী প্রতিবাদ করছিলাম। রাস্টায় মিছিল শুরু হতেই আমাদের বিধায়ক-সাংসদদের পুলিশ বাঁধা দেয়। পরে তুলে নিয়ে গিয়েছে। এটা গা জোয়ারি হচ্ছে। আমরা ভেবেছিলাম সরকারকে কাজ করতে দেব। আমরাও তো বিরোধী হিসাবে শক্তিশালী। কিন্তু সরকার যে ভাবে জনবিরোধী কাজ করছে তা মানা যায় না। ভ্যাকসিন লুঠ করছে, ভুয়ো ভ্যাকসিন দিচ্ছে। অন্যায়ের প্রতিবাদ হবেই।'
একই অভিযোগ করেন বিজেপির রাজ্য মহিলা মোর্চার নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালও। তাঁর কথায়, 'রাজ্যজুড়ে অনাচার চলছে। কোথাউ আইন বলে কিছু নেই। বিরোধিরা কিছু করলেই পুলিশ বাঁধা দিচ্ছে। মহিলা পুলিশ নেই। পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে।'
বিজেপির প্রতিবাদ মিছিল ঘিরে এদিন ধুন্ধুমার অবস্থা হয় সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে। কিছুক্ষণের জন্য মহানগরের এই রাজপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রায় ১ ঘন্টা পর আবার ওই রাস্তা দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন